ইবিতে বিএনসিসি সদস্যকে ছাত্রলীগের মারপিট
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) বিএনসিসির নৌ শাখার ক্যাডেট সদস্য রাশেদুল ইসলাম রাশেদকে মারপিট করেছে ছাত্রলীগ। রাশেদ আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী। রোববার বেলা ১২টা দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ ভবনে এ ঘটনা ঘটে।
রাশেদ মাথায় ও কোমড়ে প্রচন্ড আঘাত পেয়েছেন। তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও দলীয় সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার শেষ দিনে গত ১৮ নভেম্বর অসৌজন্যমূলক আচরণ করার কারণে ছাত্রলীগ কর্মী তৌহিদুর রহমান তুষারকে চড় মারে কুষ্টিয়া পুলিশের এএসপি মাহবুবুজ্জামান। সে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
ছাত্রলীগের কয়েকজন কর্মী জানান, ভর্তি পরীক্ষার শেষ দিন রাশেদুল ইসলাম বিএসসিসির সদস্য হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে দায়িত্ব পালনকালে তুষার অসৌজন্যমূলক আচরণ করার কারণে সে বিষয়টি কর্তব্যরত পুলিশকে জানায়। এ নিয়ে তুষার বিএনসিসি ক্যাডেট রাশেদের উপর ক্ষুব্ধ হয়।
বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাশেদ অনুষদ ভবনের নিচে এক শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলছিলেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কর্মী তুষারের বন্ধু জুবায়ের মাহমুদ, সোহাগ, রিয়ন মিয়া, সাজ্জাদ হোসেন বিপুল রাশেদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। মারপিটের এক পর্যায়ে রাশেদ অজ্ঞান হয়ে মাটিতে পড়ে গেলে ছাত্রলীগ কর্মীরা অনুষদ ভবন থেকে সরে যায়।
পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী ঘটনাস্থল থেকে তাকে উদ্ধার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে যায়। এরপর প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে রাশেদকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রের কর্তব্যরত চিকিৎসক পারভেজ হাসান বলেন, রাশেদ মাথায় ও কোমরে প্রচন্ড আঘাত পেয়েছেন। তাকে সিটি স্ক্যান করানো হতে পারে।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, যারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে শুনেছি, তারা ছাত্রলীগের কেউ না। তাদের কোনো দিন মিছিল-মিটিংয়ে দেখিনি।
প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান বলেন, ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের সনাক্তের চেষ্টা চলছে। উপযুক্ত তথ্য-প্রমাণ পেলেই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এআরএ/আরআইপি