করোনাকালেও অবাধ ভ্রমণ চালু রাখবে অস্ট্রেলিয়া, আশা নিউজিল্যান্ডের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:৫১ এএম, ২০ এপ্রিল ২০২১
নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন

অস্ট্রেলিয়া থেকে স্বাধীনভাবে দেশে ফিরতে শুরু করেছে নিউজিল্যান্ডের বাসিন্দারা। গত ১২ এপ্রিল দুই দেশের মধ্যে ভ্রমণ উন্মুক্ত হয়, যেটাকে ‘ট্রাভেল বাবল’ বলা হচ্ছে।

এদিকে সোমবার (১৯ এপ্রিল) অকল্যান্ড বিমানবন্দরের এক কর্মীর করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। মঙ্গলবার এ তথ্য জানিয়েছে নিউজিল্যান্ড কর্তৃপক্ষ। এতে অস্ট্রেলিয়া আবার কোয়ারেন্টাইন-ফ্রি বা অবাধ ভ্রমণের আদেশ স্থগিত করে দেয় কি-না তা নিয়ে সংশয়ে নিউজিল্যান্ড।

তারপরও নিউজিল্যান্ডের আশা, দুই দেশের মধ্যে চালু হওয়া ‘ট্রাভেল বাবল’ অব্যাহত থাকবে। অর্থাৎ, করোনা মহামারির মধ্যেও অস্ট্রেলিয়া কোয়ারেন্টাইন-ফ্রি ভ্রমণের আদেশ স্থগিত করবে না।

করোনাভাইরাস মহামারি শুরু হলে ২০২০ সালের মার্চে সীমান্ত বন্ধ করে দেয় অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড। নাগরিকদের ভ্রমণের ক্ষেত্রে কোয়ারেন্টাইন বাধ্যতামূলক করে দুই দেশ। গত অক্টোবর থেকে নিউজিল্যান্ডের বেশিরভাগ ভ্রমণকারী কোয়ারেন্টাইন ছাড়াই অস্ট্রেলিয়ার বেশিরভাগ রাজ্যে প্রবেশ করতে পারছিলেন। সীমান্ত বন্ধের এক বছরেরও বেশি সময় পর ‘ট্রাভেল বাবল’ চালু করলো অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড।

নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন বলেছেন, ‘আমরা উভয় পক্ষই সীমান্ত খুলে দিয়েছি। আমরা জানতাম, অবশ্যই দুই দেশের সীমান্ত সংযুক্ত থাকবে। আমরা একসঙ্গে একটা যাত্রার অংশ হতে চলেছি। আমি মনে করি, অস্ট্রেলিয়া এটা গ্রহণ করবে।’

জেসিন্ডা বলেন, নিউজিল্যান্ডের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ তাদের অস্ট্রেলিয়ান সহযোগীদের সঙ্গে যোগাযোগ করছিল। ‘ট্রাভেল বাবল’ স্থগিত করা হবে— এমন কোনো ইঙ্গিত তাদের পক্ষ থেকে পাওয়া যায়নি।

তিনি আরও বলেন, করোনা পজিটিভ আসা অকল্যান্ড বিমানবন্দরের ওই কর্মী টিকার সম্পূর্ণ ডোজ নিয়েছিলেন। বিভিন্ন দেশ থেকে আসা বিমান পরিষ্কার করতেন তিনি। গত ১২ এপ্রিলের পরীক্ষায় তার করোনা নেগেটিভ আসে। কিন্তু সোমবার (১৯ এপ্রিল) রুটিন পরীক্ষার অংশ হিসেবে নমুনা পরীক্ষায় তার ফলাফল পজিটিভ আসে।

এমএসএইচ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।