সন্ত্রাসবাদকে না বলতে হবে


প্রকাশিত: ০৪:১৪ এএম, ২৮ নভেম্বর ২০১৫

একের পর এক সহিংসতার ঘটনায় এটা ভাবার যথেষ্ট কারণ আছে যে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের থাবা থেকে মুক্ত নয়। সর্বশেষ বগুড়ায় শিয়া মসজিদে হামলার ঘটনায় বাংলাদেশে ধারাবাহিক সন্ত্রাস ও নাশকতার ঘটনাকে আরও প্রকট করে তুলছে। একের পর এক ব্লগার হত্যা, লেখক প্রকাশকদের বাড়িতে গিয়ে হামলা-হত্যা ও হত্যাচেষ্টা, বিদেশি নাগরিক হত্যা, তাজিয়া মিছিলে গ্রেনেড নিক্ষেপে দুইজনকে হত্যা, গাবতলী ও আশুলিয়ায় পুলিশ হত্যা- এসব ঘটনা গভীর ষড়যন্ত্র এবং সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনার অংশ এটি বলার অপেক্ষা রাখে না। হামলার ধরন, আক্রান্তদের তালিকা, হামলার দায় স্বীকার সবই যেন একসূত্রে গাঁথা। কিন্তু কথা হচ্ছে এই হামলা নাশকতার উদ্দেশ্য কি? কারা করছে এই দেশ বিনাশী কর্মকাণ্ড? বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করা, বহির্বিশ্বে ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করা, সরকারকে প্রশ্নের মুখে ফেলা- এসব করে আসলে লাভবান হচ্ছে কারা?  কেনই বা  এসব ঘটনার কোনো কূল কিনারা করা যাচ্ছে না। একটি ঘটনার রেশ না কাটতেই ঘটছে আরেকটি। এরফলে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হচ্ছে। নিরাপত্তা বোধ নিয়েও দেখা দিয়েছে শঙ্কা। এটা চলতে পারে না।

এসব হামলার পর যারা নানা সমীকরণ মেলাচ্ছে, লাভালাভের হিসাব কষছে, সেখান থেকেও তাদের বেরিয়ে আসতে হবে। কারণ এই সন্ত্রাসবাদ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে সেটা কারও জন্যই মঙ্গলজনক হবে না। ‘নগর পুড়লে দেবালয় এড়ায় না’-এই প্রবাদ বাক্যে বিশ্বাস রাখা জরুরি। ‘আমি বেঁচে যাচ্ছি, বা সরকার বেকায়দায় পড়ছে’- কিংবা অন্য যে কোনো হিসাব মেলানো হবে চরম আত্মঘাতী। রাজনীতিকে রাজনীতি দিয়েই মোকাবেলা করতে হবে। জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ কোনো সমাধান নয়। আখেরে তা কোনো কাজ দেয় না। কেবল ধ্বংসই ডেকে আনে। এই বোধ সবার মধ্যে কাজ করতে হবে। সবাইকে সম্মিলিতভাবে সন্ত্রাসবাদকে ‘না’ বলতে হবে। আশ্রয়-প্রশ্রয় তো দূরের কথা, ন্যূনতম সহাভূতিও এরা প্রাপ্য নয়।

আইএস বা জঙ্গিগোষ্ঠি যারাই এসব ঘটনার দায় স্বীকার করুক না কেন আসল অপরাধীদের খুঁজে বের করতে হবে যে কোনো মূল্যে। সরকার জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স দেখাচ্ছে। এটা কাজের ক্ষেত্রেও প্রমাণ করতে হবে। সার্বিকভাবে জঙ্গিবাদ বিরোধী একটি আবহ সৃষ্টি করতে হবে। যেভাবেই হোক এই সন্ত্রাসবাদীদের শেকড় উপড়ে ফেলতে হবে। তারা যাতে নতুন করে বিস্তার লাভ করতে না পারে নিশ্চিত করতে হবে সেটিও।  দেশের মানুষকেও এ ব্যাপারে এগিয়ে আসার কোনো বিকল্প নেই।

এইচআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।