জলঢাকায় ইসির নির্দেশনা মানছেন না প্রার্থীরা
নীলফামারীর জলঢাকায় আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনারের বেধে দেয়া সময়ের মধ্যে আগাম শুভেচ্ছা জানিয়ে বিলবোর্ড-পোস্টার-ফেস্টুন সরিয়ে নেয়নি কোন প্রার্থী। উপজেলা নির্বাচন অফিস থেকে এরই মধ্যে সম্ভব্য সকল প্রার্থীর নিকট এসব আগাম শুভেচ্ছা বার্তা অপসারণের নির্দেশনা দিয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে।
পৌর শহরের বিভিন্ন জায়গায় সম্ভব্য মেয়র প্রার্থী উপজেলা যুবলীগ আহ্বায়ক সারোয়ার হোসেন সাদের, জামায়াতের পৌর আমির আলহাজ্ব মকবুল হোসেন, উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়াহেদ বাহাদুর, ঘাতক দালাল নিমুল কমিটির উপজেলা সাধারণ সম্পাদক একে আজাদ ও জেলা জাসদ সভাপতি অধ্যাপক আজিজুল ইসলামের লাগানো এসব পোস্টার-বিলবোর্ড-ফেস্টুন ছড়িয়ে আছে এখন।শুক্রবার দুপুরে বিভিন্ন দোয়ালে ও রাস্তার মোড়ে মোড়ে দেখা যাচ্ছ পোষ্টার ও বিলবোর্ড।
বৃহস্পতিবার মধ্যরাত পর্যন্ত এসব অপসারণের কথা থাকলেও সে নির্দেশনা মানা হচ্ছে না। এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা নির্বাচন অফিস থেকে মেয়র পদে ৩ জন প্রার্থী মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেছেন। এরা হলেন- উপজেলা যুবলীগ আহ্বায়ক সারোয়ার হোসেন সাদের, পৌর জামায়াতের আমির আলহাজ্ব মকবুল হোসেন ও উপজেলা ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সাধারণ সম্পাদক আওয়ামী লীগ নেতা এ কে আজাদ। অপরদিকে কাউন্সিলর পদে ১০ জন ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ৩ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।
এ ব্যাপারে মেয়র প্রার্থী উপজেলা যুবলীগ আহ্বায়ক সারোয়ার হোসেন সাদেক জাগো নিউজকে জানান, আমরা নির্দেশনা পেয়েছি সে মোতাবেক অপসারণের কাজ চলছে।
জলঢাকা পৌর নির্বাচনে দায়িত্বরত সহকারী রিটার্নিং ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সেকেন্দার আলী জাগো নিউজকে বলেন, সম্ভব্য সকল প্রার্থীদের কাছে নির্বাচন কমিশনারের নির্দেশনা পৌঁছে দেয়া হয়েছে। নির্দেশনা অনুযায়ী আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে তারা তাদের আগাম শুভেচ্ছা বার্তা তুলে নিবেন বলে আশা করছি। আজ (শুক্রবার) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সময় বেধে দেয়া হয়েছে। এরই মধ্যে পোষ্টার ও বিলবোর্ড অপসারন না করলেও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
জাহেদুল ইসলাম/জেডএইচ/এমএস