বরিশাল মেডিকেলে ছাত্রলীগের দু`পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১


প্রকাশিত: ০৯:৫২ এএম, ২৪ নভেম্বর ২০১৫

বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের সংঘর্ষে সকল ধরনের ছাত্র রাজনীতি সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণার পরপরই পুনরায় ইমরান গ্রুপ হামলা চালিয়েছে। এতে অনুপ গ্রুপের পঞ্চম বর্ষের ছাত্র আশ্রাব আলী আহত হন। মঙ্গলবার দুপুর আড়াই টার দিকে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ইমরান গ্রুপের পঞ্চম বর্ষের ছাত্র আতিকুর রহমান আসিফকে আটক করেছে। কোতোয়ালী মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাখাওয়াত হোসেন জাগো নিউজকে জানান, অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি মোকাবেলায় গত সোমবার রাত থেকে ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। হামলার ঘটনায় একজনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। কলেজ কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের পর তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এদিকে, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বরিশাল শেরে-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের হোস্টেলে ছাত্রলীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় সাময়িকভাবে সকল ধরনের ছাত্র রাজনীতি বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে একাডেমিক কাউন্সিলের জরুরি সভা শেষে কলেজেছাত্র রাজনীতি বন্ধের ঘোষণা দেয়া হয় ।

একই সঙ্গে ঘটনা তদন্তে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটিকে আগামী ৩ কার্য দিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়।

কলেজ অধ্যক্ষ ডা. ভাস্কর সাহা জাগো নিউজকে জানান, একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্তনুযায়ী কলেজে সকল ধরনের ছাত্র রাজনীতি সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ঘটনা তদন্তে ডা. জাহাঙ্গীর আলমকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।

কমিটির অপর সদস্যরা হলেন, অধ্যাপক ডা. অধির কুমার দাস, ডা. এসএম সরোয়ার, ডা. নাজিমুল হক ও ডা. মাহবুব মোর্শেদ রানা। তদন্ত কমিটিকে আগামী তিন কার্য দিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। ওই প্রতিবেদন পাওয়ার পর দোষীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার রাত ৯টায় কলেজ অডিটোরিয়ামে মেডিসিন ক্লাবের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলছিল। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রলীগের অনুপ-নাসিম গ্রুপ। এসময় ছাত্রলীগের ইমরান-তুহিন গ্রুপ মিছিল নিয়ে অনুষ্ঠানস্থলে প্রবেশ করলে দুই গ্রুপের উত্তেজনা দেখা দেয়। রাত পৌনে একটার দিকে অনুপ গ্রুপ লাঠিসোটা এবং ধারালো অস্ত্র নিয়ে এক নম্বর হোস্টেলে হামলা চালায়। এসময় এক নম্বর হোস্টেলে অবস্থানরত ইমরান গ্রুপ লাঠিসোটা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে প্রতিপক্ষকে প্রতিহত করে এবং তাদের ধাওয়া করে ২ নম্বর হোস্টেলে ঢুকিয়ে দেয়।

এসময় ইটের টুকরাে এবং বোতল ভাঙা কাঁচের আঘাতে পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফরিদ এবং
ছাত্রলীগের ইমরান গ্রুপের সাজিদ ও শুভ আহত হন।

উল্লখ্য, গত ১৮ অক্টোবর ইমরান হোসেনকে সভাপতি এবং মোস্তাফিজুর রহমান তুহিনকে সাধারণ সম্পাদক করে মেডিকেল কলেজ শাখা ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করে মহানগর ছাত্রলীগ। এই কমিটির বিরোধিতা করে আসছিল মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা সেরনিয়াবাত সাদেক আব্দুল্লাহের অনুসারী ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। কমিটি ঘোষণার পর থেকে এ নিয়ে একাধিকবার সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের দু’পক্ষ।

সাইফ আমীন/এমজেড/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।