অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা প্রয়োগ চালিয়ে যান : বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮:৫৪ এএম, ১৬ মার্চ ২০২১

অডিও শুনুন

অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা উদ্ভাবিত করোনা টিকা ব্যবহার বন্ধ না করার আহ্বান জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। ইউরোপীয় ইউনিয়নের কয়েকটি দেশ এই টিকার ব্যবহার স্থগিত করার প্রেক্ষাপটে সংস্থাটি এমন আহ্বান জানিয়েছে। খবর : বিবিসি।

সংস্থাটি বলছে, এই টিকা গ্রহণের পর রক্ত জমাট বেঁধে মানুষের মৃত্যুর বিষয়ে কোনো নিশ্চিত প্রমাণ নেই। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার টিকা বিশেষজ্ঞরা মঙ্গলবার এই টিকা নিয়ে আবারও বৈঠক করবেন।

jagonews24

ইউরোপিয়ান মেডিসিন এজেন্সিও একইদিনে বৈঠকে বসবে এবং বৃহস্পতিবারের মধ্যে তারা একটি সুনির্দিষ্ট ঘোষণা দেবে। তবে এই সংস্থাটিও বলছে, টিকার ব্যবহার চালিয়ে যাওয়া উচিত।

ইউরোপে এই টিকা নেয়ার পর রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়ার একাধিক ঘটনা ঘটেছে। ইউরোপে প্রায় এক কোটি ৭০ লাখ মানুষ এই টিকার এক ডোজ করে গ্রহণ করেছেন এবং তার মধ্যে ৪০টির মতো রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়ার ঘটনা জানা গেছে।

jagonews24

এসব ঘটনা সামনে আসার পর সোমবার জার্মানির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এই টিকার ব্যবহার বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছে। দেশটির টিকা বিষয়ক সংস্থার পরামর্শে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ ঘোষণা দেয়।

jagonews24

দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রী জেন্স স্পান বলেন, ‘এই টিকার সঙ্গে রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়ার যোগসূত্র পাওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’

jagonews24

এরপর ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোন ইউরোপিয়ান মেডিসিন এজেন্সি থেকে নতুন সিদ্ধান্ত না পাওয়া পর্যন্ত এই টিকার ব্যবহার আপাতত বন্ধ রাখার ঘোষণা দেন।

এর ধারাবাহিকতায় টিকার ব্যবহার বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছে ইতালি, স্পেন, নেদারল্যান্ডস, আয়ারল্যান্ড, পর্তুগাল, ডেনমার্ক, নরওয়ে ও বুলগেরিয়াসহ বেশ কিছু দেশ।

তবে এসব দেশে টিকা ব্যবহার স্থগিত করার পর অ্যাস্ট্রাজেনেকা বলছে, টিকা ব্যবহারের কারণে রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়ার ঝুঁকি থাকার কোনো প্রমাণ মেলেনি। যা আশা করা হয়েছিল, রক্ত জমাট বাঁধার হার তার চাইতে বেশি নয়। এই ঘটনা এখন পর্যন্ত নিবন্ধন পাওয়া সব টিকার ক্ষেত্রেই ঘটতে পারে।

এমএইচআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।