রবিউলকে দিয়ে ভিক্ষাবৃত্তি : হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা
শিশু রবিউলসহ তার চার ভাইবোনকে দিয়ে ভিক্ষা করানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন হাইকোর্ট। তাদের দিয়ে ভিক্ষা করানো হলে তাদের মা নাসিমা বেগমের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে রবিউলকে তার মায়ের জিম্মায় রাখারও আদেশ দিয়েছেন আদালত। তবে প্রতি একমাস অন্তর রাজধানীর কাফরুল থানায় গিয়ে বিষয়টি অবহিত করতে তার মাকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
রবিউলসহ তার মা আদালতে হাজির হওয়ার পর রোববার হাইকোর্টের বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন। শুনানিতে আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তাপস কুমার বিশ্বাস। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রুকসানা কামার।
গত ১৬ নভেম্বর একটি জাতীয় দৈনিকের একটি প্রতিবেদন আমলে নিয়ে পর দিন ১৭ নভেম্বর হাইকোর্ট রবিউলের পরিবারকে আদালতে হাজির করার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি নির্দেশ দেন। নির্দেশ অনুযায়ী কাফরুল থানার পুলিশ রবিউলের মা এবং তার ভাইবোনদের রোববার হাইকোর্টে হাজির করেন।
১৬ নভেম্বরের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, গুলশানের কড়াইল বস্তিতে পরিবারের সঙ্গে থাকত শিশু রবিউল। ২০১৩ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি সে নিখোঁজ হয়। কয়েক দিন পর দুই হাত কাটা অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাকে পাওয়া যায়। পরে ওই শিশুকে যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে চিকিৎসা করান প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নারী কর্মকর্তা রুকসানা কামার। সেখানে রবিউলের কৃত্রিম হাত সংযোজন করা হয়। অথচ ওই রবিউলকে দিয়ে এখন রাজধানীর কাফরুল এলাকায় ভিক্ষাবৃত্তি করাচ্ছেন তার মা নাসিমা বেগম। রবিউলের কৃত্রিম হাতও খুলে ফেলা হয়েছে। এসব বিষয় উল্লেখ করে সম্প্রতি কাফরুল থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন রুকসানা কামাল।
এফএইচ/একে/পিআর