এবার ভারতের কৃষক আন্দোলনে যোগ দিচ্ছেন যুবকরাও

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯:৫২ পিএম, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১

অডিও শুনুন

ভারতে কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে চলমান আন্দোলনের ৯৩ দিন পূর্ণ হয়েছে শনিবার। আন্দোলনের তিন মাস পূর্তির দিনকে ‘যুবা কিষাণ দিবস’ হিসেবে পালন করেছে ভারতের সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা। কৃষক সম্প্রদায়ের যুব শক্তি এ দিন প্রতিবাদে নেতৃত্ব দিয়েছেন। শনিবার ভারতের দক্ষিণাঞ্চলের চারটি রাজ্যের কৃষকদের একটি বড় দল দিল্লির সিংঘু পৌঁছায়। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।

আন্দোলনরত কৃষকদের মৃত্যুর সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। শনিবার দিনের শুরুতেই সিংঘু সীমানায় নভজোৎ সিংহ নামে ১৮ বছরের এক যুবকের মৃত্যু হয়। দিনভর বিভিন্ন মঞ্চে আবেগদীপ্ত বক্তৃতা দেন কৃষক নেতারা। তাদের বক্তব্য- এত শহীদের রক্ত বৃথা যেতে দেয়া হবে না।

কিষাণ কংগ্রেসের সদস্যরা আজ বেলা সাড়ে এগারোটার সময় দিল্লিতে দলের অফিস থেকে কৃষিভবনের উদ্দেশে মিছিল শুরু করেন। কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিংহ তোমারের কার্যালয় ঘেরাওয়ের পরিকল্পনা তাদের। থালা-বাটি বাজাতে বাজাতে তারাও স্লোগান দেন, ‘আর কত মৃত্যু দেখতে চাও তোমরা?’ তবে কৃষিভবনে পৌঁছানোর বেশ আগেই তাদের আটকে দেওয়া হয়।

রোববার রাজস্থানে মহাপঞ্চায়েতের আয়োজন করা হবে। সেখানে উপস্থিত থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলত। এ দিনই কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা বঢরা যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রীর কেন্দ্র বারানাসীতে। গুরু রবিদাসজি মহারাজের জন্মোৎসব অনুষ্ঠানে যোগ দিতে তিনি সেখানে যাচ্ছেন। সেখানে কৃষকদের সঙ্গে প্রিয়াঙ্কার বৈঠক করার কথা রয়েছে।

সংযুক্ত কিসান মোর্চার পক্ষ থেকে আজ একটি সংবাদ সম্মেলন করা হয়। সেখানে বলা হয়, ‘দক্ষিণ ভারত থেকে একটি বিরাট প্রতিনিধি দল আজ সিংঘু সীমানায় এসে পৌঁছেছে। গত দু’দিন তারা ছিলেন গাজিপুরে। সিংঘুতে তারা আওয়াজ তুলেছেন, এই আন্দোলন গোটা দেশের আন্দোলন।”

এই প্রতিনিধি দলে রয়েছেন তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ, কেরালা এবং তেলেঙ্গানার কৃষকেরা। ন্যূনতম সহায়ক মূল্য (এমএসপি)-র বিষয়ে কৃষকদের নিশ্চয়তা দেওয়ার ওপরে বিশেষ জোর দিচ্ছেন তারা। কৃষকরা বলছেন, নতুন পাস হওয়া তিনটি কৃষি আইন দেশের কৃষকদের জন্য মৃত্যু পরোয়ানার সমান।

এমকে/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।