আইএস নিয়ে আলোচনার কথা বললেন ওবামা
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেছেন, আসিয়ান সম্মেলনে ইসলামিক স্টেট (আইএস) এর বিরুদ্ধে সম্মিলিত লড়াই এবং দক্ষিণ চীন সাগর নিয়ে মতবিরোধের বিষয় আলোচনা করা হবে। শুক্রবার মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাকের সঙ্গে আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন ওবামা।
ওবামা বলেন, আইএসের ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড দমনে সংগ্রাম করে যাচ্ছে মালয়েশিয়া সরকার। এ ব্যাপারে তারা আরও সহযোগিতা করতে পারে।
আইএস প্রসঙ্গে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক বলেন, মালয়েশিয়া সরকার আইএসের বিরুদ্ধে। সোশ্যাল সাইটের মাধ্যমেও আইএসের বিরুদ্ধে কাজ করে যাচ্ছে তার সরকার।
এদিকে, সম্মেলনে যোগদানের আগে ইয়ং সাউথইস্ট এশিয়ান লিডার্স ইনিশিয়েটিভ (ওয়াইএসইএএলআই) কুয়ালালামপুরের টেইলর’স ইউনিভার্সিটর টাউন হলে এক সেশনে অংশগ্রহণ করেন ওবামা।
সেখানে তিনি বলেন, দেশটির বর্তমান অবস্থায় জনগণের অধিকাংশ রায় কি হবে সেটাই মেনে নিতে হবে নাজিবকে। না হলে দেশটির সরকার ব্যবস্থায় স্বচ্চতা ও জবাবদিহিতার ব্যবস্থা প্রশ্নের মুখে পড়বে।
এদিকে দেশটির বিরোধীদলীয় নেতা ওয়ান আজিজা ইসমাঈল (সাবেক নেতা আনোয়ার ইব্রাহিমের স্ত্রী) বলেন, নাজিবের নিয়ন্ত্রণে স্বৈরতন্ত্রের দিকে যাচ্ছে মালয়েশিয়া। নাজিব সরকারের বিরুদ্ধে মানবাধিকার ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার রক্ষায় আমাদের অবিচ্ছেদ্য সংগ্রামের পাশে থাকবেন ওবামা। তবে আসিয়ান সম্মেলনে বাণিজ্য চুক্তির আড়ালে তা ঢেকে যায় কি না সেটা নিয়েও সংশয়ের ইঙ্গিত দিয়েছেন আনোয়ারের স্ত্রী আজিজা।
প্রজাতান্ত্রীক মালয়েশিয়া দিন দিন পুলিশি রাষ্ট্রে পরিণত হচ্ছে বলে মনে করেন আজিজা। দেশটির প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাকের বিরুদ্ধে বারবার বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেলেও তা ধামাচাপা দিতে দেশটির পুলিশ বাহিনীকে লাঠিয়াল বাহিনীর ভূমিকায় ব্যবহার করছে নাজিব।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের দাবি, অভিযুক্ত নাজিব সমালোচকদের মুখ বন্ধ করতে পুলিশি দমন আইন প্রয়োগ করছেন। আর এর মাধ্যমে দেশটিতে মুক্ত ও স্বাধীন সমালোচনার অধিকার খর্ব হচ্ছে। সেশনে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ প্রায় ৫শ’ জনের অধিক অংশগ্রহণ করেন।
এদিকে, আসিয়ান সামিট সামনে রেখে বিভিন্ন দেশের সরকার প্রধানরা ইতোমধ্যে কুয়ালালামপুর পৌঁছেছেন। সামিট চলাকালে আইএস জঙ্গিরা হামলা চালাতে পারে এমন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে দেশটিতে আইন-শৃঙ্খলা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। নিয়োগ করা হয়েছে সাড়ে চার হাজার সদস্য।
এসকেডি/এমএস