আজ সচলতো কাল বিকল

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি চাঁদপুর
প্রকাশিত: ০৫:৪৬ এএম, ২০ নভেম্বর ২০১৫

চাঁদপুরের শাহরাস্তি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এখন নিজেই রোগাক্রান্ত। রোগীরা পাচ্ছে না প্রকৃত স্বাস্থ্য সেবা। বর্তমানে ৫০ শয্যার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চলছে ৩১ শয্যার জনবল দিয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অ্যাম্বুলেন্স ও এক্সরে মেশিন এবং ডেন্টাল চেয়ারের হ্যালোজেন লাইট দীর্ঘদিন যাবত বিকল হয়ে পড়ে রয়েছে। এছাড়া নেই ডায়রিয়া স্যালাইন, প্রয়োজনীয় ইনজেকশনসহ অন্যান্য ওষুধ সামগ্রী।  

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. মাহবুবুল হোসেন রুবেল জাগো নিউজকে জানান, ১৯৮৪ সালে এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রতিষ্ঠার পর ১৯৯১-১৯৯৫ সময়ে এটি ৩১ শয্যা হাসপাতালে উন্নতি লাভ করে। পরে ৪ আগস্ট ২০০৭ সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সিরাজুল ইসলাম ৫০ শয্যার ভিত্তি প্রস্তর উন্মোচন করেন। অবকাঠামো উন্নয়ন হলেও গত ৮ বছরে প্রয়োজনীয় জনবল সঙ্কট সমস্যা আজও কাটেনি। মঞ্জুরীকৃত পদ ১৮৩টি থাকলেও বিভিন্ন পদে ১২৯ জন কর্মকর্তা, কর্মচারীবৃন্দ রয়েছেন। ডাক্তার ১৮ জনের স্থলে ১২ জন, দ্বিতীয় শ্রেণির নার্সিং কর্মকর্তা ১০ জনের স্থলে ৯ জন, চতুর্থ শ্রেণির ৩১ জনের স্থলে ১৮ জন, তৃতীয় শ্রেণির ১১৪ জনের স্থলে ৯০ জন কর্মকর্তা কর্মচারী নিয়োজিত রয়েছেন।

ambu

এদিকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ৫০ শয্যা মঞ্জুরীকৃত ২০টি পদে একজন স্টাফও এ পর্যন্ত যোগদান করেননি। ২৪ মার্চ ২০১০ সালে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে অ্যাম্বুলেন্সটি বরাদ্দ পাওয়া গেলেও ২০১৩ সালে রাজনৈতিক সহিংসতায় এটি লাকসাম এলাকায় বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়ে। সেই থেকে এটি বিকল থাকছে। এক্সরে মেশিনটির একই অবস্থা। আজ সচলতো কাল অচল, এভাবে চলতে চলতে গত ৩ মাস আগে একেবারেই বিকল হয়ে যায়। ডেন্টাল বিভাগের ডেন্টাল চেম্বারের হ্যালোজিন লাইট গত চার মাস ধরে জ্বলছে না।

এ  স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসা আব্দুল গফুর, ইলিয়াছ খান, রোকেয়া বেগম, রেহানা আক্তারসহ অনেক রোগীরা জাগো নিউজকে জানান, হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসে সারাদিন অপেক্ষা করে চলে যেতে হয়। ডাক্তার ঠিকমতো পাওয়া যায় না। এক্স-রে করা, ওষুধসহ সবই বাহির থেকে কিনতে হচ্ছে। হাসপাতালে চিকিৎসা বলতে কিছুই নেই।

ambu

শাহরাস্তি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মানিক লাল মজুমদার জাগো নিউজকে বলেন, ২০১৫ সালের আগস্ট পর্যন্ত এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরি বিভাগে ৭৩৪২ জন এবং বহির্বিভাগে ৪৪২২৯ জন রোগী সেবা গ্রহণ করেন। এছাড়া এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সমস্যাদির বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে বলে জানান।

৫০ শয্যা কাগজপত্রে হাসপাতালটি জনবল বৃদ্ধিসহ রোগী সেবার মান বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে সমস্যা দিন দিন বাড়তে থাকবে বলে পর্যবেক্ষক মহল মনে করেন।

ইকরাম চৌধুরী/এমজেড/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।