সঞ্জীব চৌধুরীর অষ্টম মৃত্যুবার্ষিকী আজ
এক পলকেই চলে গেলো, আহ্ কি যে তার মুখখানা, নষ্ট শহরে, গাড়ি চলে না এরকম অনেক কালজয়ী গানের স্রষ্টা সাংবাদিক ও সঙ্গীতশিল্পী সঞ্জীব চৌধুরীর অষ্টম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০০৭ সালের ১৯ নভেম্বর মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত কারণে তিনি না ফেরার দেশে পাড়ি জমান।
সঞ্জীব চৌধুরীর পরিচিতি শুধুমাত্র গায়ক-সুরকার-গীতিকার হিসেবেই সীমায়িত নয়, বরং বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী সঞ্জীব চৌধুরীর বিচরণ ছিল সৃজনশীল বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে। একাধারে তিনি ছিলেন লেখক-কবি, সংগঠক, অভিনেতা ও খ্যাতনামা সাংবাদিক।
সঙ্গীত চর্চার পাশাপাশি বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় সংবাদপত্র আজকের কাগজ, ভোরের কাগজ ও যায়যায়দিনে সাংবাদিকতা করেছেন তিনি। বর্তমানে প্রতিষ্ঠিত অনেক সাংবাদিক, যারা আজকের কাগজ কিংবা ভোরের কাগজে সঞ্জীব চৌধুরীর সহকর্মী হিসেবে কাজ করেছেন তাদের অনেকেরই সাংবাদিকতার হাতে খড়ি সঞ্জীব চৌধুরীর কাছে।
রাজনীতিতেও তার সংশ্লিষ্টতা ছিল ঘনিষ্ট। স্কুল জীবন থেকেই ছাত্র রাজনীতির সংস্পর্শে আসেন। এ সময় তিনি বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সাথে যুক্ত হন। কলেজ জীবনেও তিনি এ সংগঠনের সাথে যুক্ত থেকে ছাত্র ইউনিয়নের নিবেদিত প্রাণ ও সক্রিয় সংগঠক হিসেবে কাজ করেন। গড়ে তোলেন শক্তিশালী সাংস্কৃতিক টিম। তিনি এ সংগঠনের সাংস্কৃতিক সম্পাদক ছিলেন। ৯০-এর স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন এই আলোচিত শিল্পী। সে সময় প্রগতিশীল ছাত্র রাজনীতির সাথে জড়িত সঞ্জীব গলায় হারমোনিয়াম ঝুলিয়ে তাৎণিক গান লিখে সুর দিতেন আর রাজপথ কাঁপাতেন গান গেয়ে। ২০০৭ সালের আজকের দিনে তিনি ঢাকার এ্যাপোলো হাসপাতালের নিবিড় পর্যবেক্ষণ বিভাগে মারা যান।
সঞ্জীব চৌধুরীর জনপ্রিয় গানগুলোর মধ্যে অন্যতম : সমুদ্র সন্তান, চাঁদের জন্য গান, রিক্সা, গাড়ি চলে না, বায়স্কোপ, নষ্ট শহরে, হাতের উপর হাতের পরশ, বয়স হল সাতাশ, তোমার ভাঁজ খোলো আনন্দ দেখাও, আমি ফিরে পেতে চাই, আমি তোমাকেই বলে দেবো, দুঃখ ব্যথায় মুখটা যে নীল, একটু খানি সবুজ, জোছনা বিহার, সাদা ময়লা রঙ্গিলা, নেশা, আহ!, নৌকা ভ্রমণ ইত্যাদি।
এআরএস/আরআইপি