বিপদ কাটেনি ৭৫ শতাংশ ভারতীয়র, টিকার দ্বিতীয় ডোজ ১৩ ফেব্রুয়ারি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:৪২ পিএম, ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১

আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ভারতে করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ শুরু হচ্ছে। যারা প্রথম ডোজ নিয়েছেন, এসএমএসের মাধ্যমে তাদেরকে দ্বিতীয় ডোজের সময় জানিয়ে দেয়া হবে। বৃহস্পতিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক বৈঠকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

পাশাপাশি এদিন ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চ (আইসিএমআর) করোনার তৃতীয় দফার জরিপের প্রতিবেদ প্রকাশ করেছে। এতে বলা হয়েছে, ভারতের ৭৫ শতাংশ মানুষের এখনও করোনা সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

গত ১৬ জানুয়ারি ভারতে করোনা টিকাকরণ কর্মসূচির শুরু হয়। প্রথম ডোজের ২৮ দিন পর দ্বিতীয় ডোজ দেয়ার কথা আগেই জানানো হয়েছিল। ১৬ জানুারি যারা প্রথম ডোজ পেয়েছিলেন, ১৩ ফেব্রুয়ারি তারা দ্বিতীয় ডোজের টিকা পাবেন।

দ্বিতীয় ডোজ দেয়ার ক্ষেত্রে সরকারের সামনে একটা বড় চ্যালেঞ্জ রয়েছে বলে আগেই জানিয়েছিলেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা। তিনি বলেন, ‘কোনো ব্যক্তিকে কোভিশিল্ড বা কোভিভ্যাকসিনের মধ্যে যে করোনা টিকার প্রথম ডোজ দেয়া হয়েছিল, দ্বিতীয় ডোজের ক্ষেত্রে সেই ব্যক্তি যাতে একই টিকা পান সেটা নিশ্চিত করা সরকারের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ।’

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বৈঠকে তৃতীয় দফার জরিপের প্রতিবেদন প্রকাশ করেন আইসিএমআরের ডিজি বলরাম ভার্গব। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়েই দেশের ২১ দশমিক ৪ শতাংশ অর্থাৎ প্রায় ২৮ কোটি মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। গত ১৭ ডিসেম্বর থেকে চলতি ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত এই জরিপ করা হয়েছে।

এবারও দেশের ২১টি রাজ্যের ৭০টি জেলার এবং আগের সেই ৭০০ গ্রামেও জরিপ চালানো হয়েছে। ১০ বছর থেকে ৬০ বছরের বেশ বয়সী মিলিয়ে মোট ২৮ হাজার ৫৮৯ জনের নমুনা সংগ্রহ করে এই জরিপ চালানো হয়েছে। এতে দেখা গেছে, এখনও দেশের ৭৫ শতাংশ মানুষের করোনা সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই করোনা সতর্কতা মেনে চলার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

ভারতের স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ জানিয়েছেন, স্বাস্থ্যকর্মীদের টিকাকরণ পর্ব শেষ হলেই তারা দ্বিতীয় সারিতে থাকা ৫০ ঊর্ধ্ব এবং কোমর্বিডিটি রয়েছে এমন ব্যক্তিদের টিকাকরণের কাজ শুরু করে দেবেন এবং সেই কাজ খুব শিগগরিই শুরু হবে।

ভারতে করোনা সংক্রমণ কমলেও এখনও রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল মিলিয়ে মোট আট জায়গায় পরিস্থিতি উদ্বেগজনক রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। এসব জায়গাতে করোনা সংক্রমণের হার জাতীয় গড়ের তুলনায় বেশি। এদের মধ্যে অবশ্য কেরালা ও মহারাষ্ট্র প্রথম সারিতে রয়েছে। ভারতে মোট করোনা সংক্রমণের ৭০ শতাংশই এই দুই রাজ্যে।

তিনি আরও জানান, বিশ্বের করোনা পরিস্থিতির তুলনায় ভারতের অবস্থান অনেকটাই ভাল। গত তিন সপ্তাহে দেশে ৪৭টি জেলার একটিতেও নতুন সংক্রমণ নেই। ২৫১টি জেলায় করোনার কারণে একজনরেও মৃত্যু হয়নি। এই তথ্যকে ‘সুখবর’ বলেই উল্লেখ করেছেন তিনি।

ইএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।