দুবাইয়ে বার বন্ধই থাকছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৬:২৪ পিএম, ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২১

সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই শহরে সব ধরনের বার এবং মদের দোকান বন্ধই থাকছে। সোমবার কর্তৃপক্ষ নতুন এক নির্দেশনা জারি করেছে। ওই নির্দেশনা অনুযায়ী, চলতি মাসের শেষ পর্যন্ত সেখানকার সব বার এবং মদের দোকান বন্ধ থাকবে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধ করতেই এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে ছুটি কাটাতে সেখানে পর্যটকের আনাগোনা বেড়ে যাওয়ার পর থেকেই নতুন করে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে।

কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, আগামী মঙ্গলবার থেকে নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, বার এবং মদের দোকান বন্ধ থাকবে। অপরদিকে সিনেমা হল এবং বিভিন্ন খেলাধুলার ভেন্যুগুলোতে তাদের ধারণক্ষমতার অর্ধেক লোকের সমাগমের অনুমতি দেয়া হয়েছে।

দুবাইয়ের বিশাল শপিংমল, হোটেল, সুইমিং পুল এবং বেসরকারি বিভিন্ন বীচে ধারণক্ষমতার ৭০ শতাংশ লোকজনের চলাচলে অনুমতি দেয়া হয়েছে।
এছাড়া বিভিন্ন রেস্টুরেন্ট এবং ক্যাফে রাত একটার মধ্যেই বন্ধ করে দেয়ার নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।

ক্রাইসিস অ্যান্ড ডিজেস্টার ম্যানেজমেন্ট কমিটি জানিয়েছে, ইচ্ছাকৃতভাবে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা উপেক্ষা করলে অথবা সেগুলো সঠিকভাবে পালন না করার কারণে জনস্বাস্থ্যের ঝুঁকি তৈরি করেছেন এমন কাউকে পাওয়া গেলে তাকে কঠোর শাস্তি ভোগ করতে হবে।

করোনা মহামারি শুরুর পরেও কঠোর অবস্থান নেয়নি দুবাই। অন্য দেশের সঙ্গে তারা সীমান্তও বন্ধ করেনি। এমনকি গত জুলাই মাস থেকেই তারা পুনরায় পর্যটকদের ভ্রমণের অনুমতি দিয়েছে। মহামারির কারণে আমিরাতের আর্থিক অবস্থা বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নানাভাবে দেশটি এই অবস্থা কাটিয়ে তোলার চেষ্টা করছে।

ওয়ার্ল্ডোমিটারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, আরব আমিরাতে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ৩ লাখ ৯ হাজার ৬৪৯ জন। এর মধ্যে মারা গেছে ৮৬৬ জন। ইতোমধ্যেই সুস্থ হয়ে উঠেছে ২ লাখ ৮৫ হাজার ২০১ জন। বর্তমানে সেখানে করোনার অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ২৩ হাজার ৫৮২।

প্রায় ১০ লাখ জনসংখ্যার দেশটিতে ভ্যাকসিনের ৩৪ লাখ ডোজ সরবরাহের চেষ্টা করছে কর্তৃপক্ষ। করোনার প্রকোপ ঠেকাতে দেশটিতে মাস্ক ব্যবহার এবং সামাজিক দূরত্ব বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

টিটিএন/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।