যে গ্রামে টেলিভিশন দেখা নিষেধ


প্রকাশিত: ০৩:৫৩ এএম, ১৮ নভেম্বর ২০১৫

সিনেমা নয় বাস্তবে এমন একটি গ্রামের সন্ধান পাওয়া গেছে যে গ্রামে ১০ বছর ধরে টেলিভিশন দেখা নিষেধ। গ্রামটির নাম বড়াইল গ্রাম। শরীয়তপুর সদর উপজেলায় এটির অবস্থান।

বড়াইল গ্রামে ১৫ বছর আগে থেকে রয়েছে বিদ্যুৎ। রয়েছে আধুনিক যোগাযোগ মাধ্যম মোবাইল ফোনসহ সব ধরনের ইলেকট্রনিক জিনিসপত্রের ব্যবহার। কিন্তু টেলিভিশন দেখা পুরোপুরি নিষেধ। এ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন বড়াইল নূরানী মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা মো. আবদুল হাই মুন্সী।

গ্রামবাসীরা জানান, বড়াইল গ্রামে আবদুল হাই মুন্সীর অনেক অবদান রয়েছে। তিনি জীবিত থাকতে বড়াইল গ্রামে কেউ টেলিভিশন আনতে পারবে না। তা ছাড়া বড়াইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কোনো পুরুষ শিক্ষক যোগদান করতে পারেন না। যদি কোনো পুরুষ শিক্ষক বিদ্যালয়ে যোগদান করেন, তাহলে তাকে মসজিদ ও মাদ্রাসা কমিটি প্রতিহত করে।

শরীয়তপুর ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো. মিজানুর রহমান জানান, টেলিভিশনে ৯০ শতাংশ অনুষ্ঠান দেখা ইসলামের দৃষ্টিতে নাজায়েজ; কিন্তু ১০ শতাংশ তো জায়েজ। মোবাইল ফোনে ইন্টারনেটের মাধ্যমে সব ধরনের অশ্লীল সিনেমা দেখা যায়। আর সেই ফোন যদি পকেটে থাকতে পারে, তাহলে টেলিভিশন ঘরে থাকতে সমস্যা কোথায়?

এআরএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।