রাহুল গান্ধী ব্রিটিশ নাগরিক


প্রকাশিত: ০৩:৫১ এএম, ১৮ নভেম্বর ২০১৫

ভারতে বিরোধী কংগ্রেস দলের নেতা রাহুল গান্ধীকে একজন ব্রিটিশ নাগরিক উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রীর কাছে চিঠি লিখে তার সংসদের সদস্য পদ বাতিল করার দাবি তুলেছেন বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। একইসঙ্গে নিজের বক্তব্যের সমর্থনে ব্রিটেনের কোম্পানি আইন অনুযায়ী দাখিল করা রাহুল গান্ধীর রিটার্ন (যেখানে গান্ধীকে ব্রিটিশ নাগরিক হিসেবে পরিচয় দেওয়া হয়েছে) দাখিল করেছেন তিনি।

তবে রাহুল গান্ধীর দল দাবি করেছেন, দশ-বারো বছরের পুরনো ওই রিটার্ন পেশ করার সময় কোনো ভুল হয়ে থাকতে পারে।

ভারতে কংগ্রেস দলের ৪৫ বছর বয়সী নেতা রাহুল গান্ধীকে নিয়ে বিতর্ক অবশ্য নতুন কোনও ঘটনা নয়। এ বছরের গোড়াতেই তার লম্বা সময় ধরে দেশের বাইরে আচমকা উধাও হয়ে যাওয়া নিয়ে সমালোচনা কম হয়নি। পাশাপাশি তার বক্তৃতায় নানা ভুলভ্রান্তিকেও ব্যাখ্যা করা হয়েছে তার রাজনৈতিক অপরিপক্বতা হিসেবেও।

ভারতীয় সংবিধানের নয়-নম্বর আর্টিকল অনুযায়ী দ্বৈত নাগরিকত্ব নেওয়াটা পুরোপুরি বেআইনি। অথচ ব্রিটেনে ব্যাকঅপস লিমিটেড নামে ২০০৩ সালে প্রতিষ্ঠিত একটি কোম্পানির রিটার্ন দাখিল করতে গিয়ে সংস্থার ডিরেক্টর রাহুল গান্ধী নিজেকে ব্রিটিশ নাগরিক বলে পরিচয় দিয়েছেন।

সে দেশের কোম্পানি রেজিস্ট্রারের দফতর থেকে সংগৃহীত নথি পেশ করে এই অভিযোগ তুলেছেন বিজেপির সুব্রহ্মণ্যম স্বামী গান্ধী পরিবারের বিদেশি যোগসাজশ নিয়ে যিনি আক্রমণ শানিয়ে যাচ্ছেন বহু বছর ধরে।

স্বামী বলেছেন, এই রিটার্নে সবচেয়ে বড় অপরাধটা হল তিনি নিজের নাগরিকত্ব ব্রিটিশ বলে জানিয়েছেন। আর সেটা একবার নয়, একাধিকবার। আমি তাই প্রধানমন্ত্রী ও লোকসভার স্পিকারকে দিনকয়েক আগেই চিঠি লিখে জানিয়েছি, এটা সত্যি হলে তার পার্লামেন্টের সদস্যপদ যেন খারিজ করা হয়, আর আইন অনুযায়ী তিনি ভারতের নাগরিকও আর থাকতে পারেন না।

আরএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।