স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড


প্রকাশিত: ১০:৪৫ এএম, ১৭ নভেম্বর ২০১৫

গাজীপুরে পারিবারিক কলহের জের ধরে স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যার দায়ে স্বামী জালাল উদ্দিনের (২৫) মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। মঙ্গলবার দুপুরে গাজীপুরের জেলা জজ একেএম এনামুল হক এ দণ্ডাদেশ দেন। একই সঙ্গে তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি জালাল উদ্দিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত জালাল উদ্দিন গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার চরখিড়াটি গ্রাম এলাকার সিরাজ উদ্দিনের ছেলে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, জালাল উদ্দিনের সঙ্গে ফরিদপুরের নগরকান্দা থানার মীরের গ্রামের ইউনুস মাতব্বরের মেয়ে কাকলী বেগমের (১৯) বিয়ে হয়। বিয়ের পর স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া বিবাদ হতো। আর এরই জের ধরে ২০০৯ সালের ২২ এপ্রিল রাতে নিজ ঘরে স্বামী জালাল উদ্দিন স্ত্রী কাকলীকে শারীরিক নির্যাতন করে। এক পর্যায়ে তাকে ঘুমের ওষধ খাইয়ে দুই হাত ও দুই পা রশি দিয়ে চৌকির সঙ্গে বেঁধে মুখে বালিশ চাপা দিয়ে তাকে হত্যা করা হয়।

এ ঘটনার পর স্থানীয় লোকজন জালালকে আটক করে পুলিশের সোপর্দ করে। এরপর আটক জালাল আদালতে ১৪৪ ধারায় স্ত্রীকে হত্যায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

ঘটনার পর দিন নিহত কাকলীর পিতা ইউনুস মাতুব্বর বাদী হয়ে কাপাসিয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। কাপাসিয়া থানার এসআই আজিজুল হক তদন্ত শেষে একই বছরের ১৪ অক্টোবর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। আদালতে ১৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য প্রদান করেন।

দীর্ঘ শুনানির পর আদালত জালাল উদ্দিনকে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রেখে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের আদেশ প্রদান করেন। একই সঙ্গে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

বাদীপক্ষের আইনজীবী পিপি অ্যাড. হারিছ উদ্দিন আহমদ ও আসামীপক্ষে অ্যাড. ফখরুদ্দিন আকবরী।

আমিনুল ইসলাম/এআরএ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।