দ্য শওকিনস সফল ছবি


প্রকাশিত: ০১:৩৬ পিএম, ০৮ নভেম্বর ২০১৪

১৯৮২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত বাসু চট্ট্যোপাধ্যায়ের ছবি নিয়ে অক্ষয়কুমার তাঁর প্রযোজনার কাজ শুরু করেছিলেন। শনিবার তার রেজাল্ট বেরােবার দিন। এখন প্রশ্ন কেমন হল সেই রেজাল্ট। ছবির গল্প সকলেরই জানা। পুরোনো গল্পের খুব একটা অদলবদল ঘটানো হয়নি।

শুধু সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে যতটা বদল প্রয়োজন ততটাই দেখা গেল। এখানেও নায়ক সেই তিন বুড়ো। স্বভাবে তাঁরা একটু ইরোটিক। খুব একটা সোজা চরিত্রের নয়। একজনের (অনুপম খের) স্ত্রী থেকেও নেই। কারণ তাঁরা স্বামী-স্ত্রী কেউই একে অন্যকে নিয়ে ভাবিত নন। দ্বিতীয়জন (পীযূষ মিশ্র) এক মাসাজ গার্লের প্রতি নরম চিত্ত। আর অন্যজন (অন্নু কাপুর) অকৃতদার। তাই মেয়েদের প্রতি তাঁর ‘দুর্বলতাটা’ একটু বেশি মাত্রারই।

ছবিতে এই তিন বুড়ো ওরফে তিন দুঁদে অভিনেতা যখন একসঙ্গে এসে হাজির হয় তখন দর্শকদের তেমন হাসিরই উদ্রেক হয় না। অথচ তিনজনই অত্যন্ত তুখোড় অভিনেতা সে বিষয়ে সন্দেহ নেই। অক্ষয়কুমারের অভিনীত চরিত্রটি যেন ছবির কোনও চরিত্রই নয়। ছবিটি এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে কোনও ভূমিকাই নেই।

তবু ওই বুড়োদের উপস্থিতি থেকে সে দর্শককে খানিকটা রিলিফ দেয়। যদিও আগের কয়েকটি ছবিতে এর চেয়ে অনেক ভাল অভিনয় করেছিলেন তিনি। ‘কুইন’-এ অসম্ভব সাবলীল এবং সুন্দরী লিজা হেডন প্রচুর চেষ্টা করেও কিছু করতে পারলেন না। বাড়তি কিছুই দেওয়াকর ছিল না তাঁর।

আসলে ছবিটি দেখার পর যে সমস্যাটা প্রকট বলে মনে হচ্ছে তা চিত্রনাট্যে বড়সড় গলতি। সংলাপেও চরম একঘেয়েমি রয়েছে। কতবার যে বিভিন্ন চরিত্ররা ‘বুড়াস’, ‘থড়কি’ উচ্চারণ করেছে তার ইয়ত্তা নেই। সব মিলিয়ে ছবিটি দেখতে যেতেই পারেন। কিন্তু একথা বলাই যায় যে মূল ছবি ‘শওকিন’কে কোনওভাবেই ছাপিয়ে যেতে পারেনি।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।