জাপানিরা মংলা বন্দর ব্যবহার করতে চায় না
মংলা বন্দরে জাপানি রফতানিকারকরা আর কোনো গাড়ি পাঠাতে রাজি নয় বলে দাবি করেছেন বাংলাদেশ রিকন্ডিশন্ড ভেহিকেল ইমপোর্টার্স ও ডিলারস অ্যাসোসিয়েশনের (বারভিডা) নেতৃবৃন্দ।
তারা বলছেন, মংলা বন্দরে নানা জটিলতার সৃষ্টি হওয়ায় এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
নেতৃবৃন্দ একই সঙ্গে বিদ্যমান কাস্টমস আইন অণুযায়ী মংলা বন্দরে খালাসের অপেক্ষায় থাকা আমদানি করা গাড়িগুলো খালাস করার জন্য সরকারের কাছে আহ্বান জানিয়েছেন।
রোববার দুুপুরে খুলনার স্থানীয় একটি অভিযাত হোটেলে প্রেস ব্রিফিং-এ বারভিডার নেতৃবৃন্দ একথা বলেন।
বারভিডার সভাপতি এমএ হামিদ শরীফ বলেন, মংলা বন্দরকে ধ্বংস করার জন্য আবারো ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। এই বন্দরে গাড়ি আমদানির মধ্য দিয়ে বন্দরটি সচল হয়েছিলো। কিন্তু একটি মহল সেই গতির চাকাকে থামিয়ে দিতে নানামুখি ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। ফলে জাপানি রফতানিকারকরা এখন আর মংলা বন্দরে গাড়ি পাঠাতে রাজি হচ্ছেন না।
তিনি বলেন, বন্দরে বর্তমানে আমদানি শর্তভঙ্গ করা ৫১২টি, শুল্ক নির্ধারণ জটিলতায় আটকে থাকা ৮৮৩টি এবং নতুন আমদানি করা ৬৮৪টি গাড়ি পুলিশ প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, এই গাড়ি আমদানি করেছি আমরা। কিন্তু গাড়ির মূল্য নির্ধারণ করবে পুলিশ আর বিআরটিএ। এখানে আমাদের কোনো মতামত নেয়া হবে না। এই সিদ্ধান্ত মেনে নেয়া যায় না। কারণ এটা বিনিয়োগকারীকে গলাটিপে হত্যার সামিল। ব্যাংক থেকে চড়া সুদে ঋণ নিয়ে অনেক ছোটখাটো আমাদানিকারক ব্যবসায় নেমেছেন। এখন তাদের পথে বসতে হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বারভিডার জেনারেল সেক্রেটারি মাহবুবুল হক চৌধুরী বাবর।
আলমগীর হান্নান/এমএএস/আরআইপি