চীন সরকারের সঙ্গে বিরোধের পর দু’মাস ধরে ‘নিখোঁজ’ জ্যাক মা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৬:৪৬ পিএম, ০৪ জানুয়ারি ২০২১

কিছুদিন আগে একটি ট্যালেন্ট শো’তে বিচারক হিসেবে উপস্থিত হওয়ার কথা ছিল চীনা ধনকুবের জ্যাক মা’র। কিন্তু রহস্যজনকভাবে সেখানে উপস্থিত হননি তিনি। পরে সেই ট্যালেন্ট শো’র ওয়েবসাইট থেকে জ্যাক মা’র সব ছবিও সরিয়ে ফেলা হয়।

‘আফ্রিকাজ বিজনেস হিরোজ’ নামে ওই শো পরিচালনা করতেন ধনকুবের নিজেই। অনুষ্ঠানটি থেকে আফ্রিকার তরুণ ব্যবসায়ীদের ১৫ লাখ মার্কিন ডলার পুরস্কার দেওয়া হয়।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফ জানিয়েছে, মাস দুয়েক আগে চীন সরকারের সঙ্গে বিরোধে জড়িয়েছিলেন আলিবাবার প্রতিষ্ঠাতা। এরপর থেকেই তাকে আর প্রকাশ্যে দেখা যাচ্ছে না।

গত অক্টোবরে চীনা সরকারের কড়া সমালোচনা করেন জ্যাক মা। তিনি বলেছিলেন, সরকারের কর্তারা সুদখোরের মতো কথা বলেন। চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর নানা নীতিরও সমালোচনা করেন এ বিলিয়নিয়ার। তার মতে, চীনে ব্যাংকগুলো যেভাবে চলছে, তাতে সময়ের সঙ্গে তাল মেলানো যায় না। এজন্য ব্যাংকিং খাতে ব্যাপক সংস্কারের দাবি জানান জ্যাক মা।

বলা হচ্ছে, তার ওই বক্তব্যেই অসন্তুষ্ট হয় জিনপিং সরকার। এর পরপরই আলিবাবার নানা ব্যবসার ওপর বিধিনিষেধ আসতে শুরু করে।

গত নভেম্বরে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানায়, জ্যাক মা’র বিদেশভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে চীন সরকার। বড়দিনের ঠিক আগে আলিবাবা গ্রুপ হোল্ডিং নিয়ে তদন্তের আদেশ দেওয়া হয়। জ্যাক মা’র আরেক কোম্পানি অ্যান্ট গ্রুপের ব্যবসাও গুঁটিয়ে আনতে বলা হয়।

জানা যায়, জ্যাক মা’র আসল নাম মা ইউয়ান। ১৯৬৪ সালে পূর্ব চীনের হাংঝৌ শহরের এক দরিদ্র পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। হাইস্কুল শেষ করে কলেজে ভর্তি পরীক্ষায় পরপর দু’বার ফেল করেছিলেন জ্যাক মা। পরে ভর্তি হন হাংঝৌ টিচার্স ইনস্টিটিউটে। সেখান থেকে স্নাতক শেষ করে চাকরির চেষ্টা করেছেন বহুদিন। শোনা যায়, অন্তত ৩০টি প্রতিষ্ঠানে চাকরির আবেদন করে প্রত্যাখ্যাত হয়েছিলেন তিনি। এগুলোর মধ্যে রয়েছে কেএফসি’ও।

পরে ১৯৯৯ সালে প্রতিষ্ঠা করেন ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম আলিবাবা। বর্তমানে এটি বিশ্বের শীর্ষ ১০টি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের একটি।

সূত্র: এনডিটিভি, দ্য ওয়াল

কেএএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।