ব্রেক্সিট : ফ্রান্সের নাগরিকত্ব নিতে চান বরিস জনসনের বাবা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০২:১৭ পিএম, ০১ জানুয়ারি ২০২১

ব্রেক্সিট চুক্তির মাধ্যমে ইউরোপীয় ইউনিয়নে ব্রিটিশদের অবাধ চলাচলের অবসান ঘটায় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের বাবা স্টানলি ফ্রান্সের নাগরিকত্ব নেয়ার পরিকল্পনা করছেন। বৃহস্পতিবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তিনি।

ফ্রান্সে দেশটির আরটিএল রেডিওর সঙ্গে আলোচনাকালে স্টানলি জনসন বলেন, ‘এটি ফরাসি হওয়ার প্রশ্ন নয়। আমি যদি সঠিকভাবে বুঝতে পারি তবে আমি ফরাসি! আমার মা ফ্রান্সে জন্মগ্রহণ করেছিলেন, তার মা তার পিতামহের মতো ফরাসি ছিলেন।’

৮০ বছর বয়স্ক স্টানলি বলেন, ‘এটি আমার জন্য প্রাপ্তির প্রশ্ন, যা ইতোমধ্যেই আমার রয়েছে এবং আমি এ ব্যাপারে অত্যন্ত খুশি।’

১৯৭৩ সালে ব্রিটেন ইইউতে যোগ দেয়ার পর প্রথম যারা ব্রিটিশ সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে ব্রাসেলসে নিয়োগ পেয়েছিলেন. ইইউয়ের ৪৭ বছরের সদস্যপদের অবসান ঘটানো রাজনীতিবিদের বাবা স্টানলি তাদের মধ্যে ছিলেন। তিনি ইউরোপীয় কমিশনে কাজ করেছেন এবং ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

২০১৬ সালে ইইউ ত্যাগের ব্যাপারে ভোটাভুটির এক বছর পর তার মানসিক পরিবর্তনের আগে তিনি ব্রিটেনের ইইউ ত্যাগের বিরুদ্ধে প্রচার অভিযানে যোগ দিয়েছিলেন। তিনি আরটিএলকে বলেন, ‘আমি সর্বদা নিশ্চিতভাবেই ইউরোপিয়ান হবো।’

‘আপনি ইরেজি বলতে পারবেন না, আপনি ইউরোপিয়ান নন। ইউরোপ একটি একক মার্কেটের চেয়ে বড়, এটি ইউরোপীয় ইউনিয়নের চেয়ে বড়।’ এ কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এই সংযোগ ইইউয়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ’। তিনি নিজেকে একজন ইইউ পাসপোর্টধারী হিসেবে পছন্দ করেন।

ফরাসি পাসপোর্টের জন্য তার পরিকলাপনার কথা ইতোমধ্যেই তার মেয়ে রিচেল গত মার্চে প্রকাশিত এক বইয়ে উল্লেখ করেছেন।

রিচেল তার বইয়ে লিখেছেন, তার দাদি ভার্সেইলে জন্মগ্রহণ করেছেন এবং যদি তার বাবা ফরাসি নাগরিকত্ব পান, তবে তিনিও ফরাসি নাগরিক হতে চান।

নতুন যুগে প্রবেশ করেছে ব্রিটিশরা। ঘড়ির কাঁটায় রাত ১২টা বাজতেই একদিকে এসেছে ইংরেজি নতুন বছর, অন্যদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘটেছে যুক্তরাজ্যের। অর্থাৎ ১ জানুয়ারি থেকে আর ইইউয়ের অংশ নয় দেশটি।

বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।