অবশেষে ত্রাণ বিলে স্বাক্ষর করলেন ট্রাম্প

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮:৫৫ এএম, ২৮ ডিসেম্বর ২০২০

মার্কিন সরকারের অচলাবস্থা এড়াতে অবশেষে করোনাভাইরাস ত্রাণ বিলে স্বাক্ষর করেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। খবর বিবিসির।

ট্রাম্প প্রথম দিকে বিলে স্বাক্ষর করতে রাজি হননি। তিনি জনসাধারণের জন্য আরও বেশি অর্থ সহায়তা চান এমন দাবি করে আসছিলেন। ত্রাণ তহবিলের পরিমাণ ৯০ হাজার কোটি টাকা। মাসব্যাপী আলোচনার পর এই বিলে কংগ্রেস সম্মতি জানায়।

মোট ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি ডলারের এই বিলের ১ লাখ ৪০ হাজার কোটি ডলার খরচ করা হবে সরকারি বিভিন্ন ব্যয়ের খাতে। সোমবার মধ্যরাতের মধ্যে ট্রাম্প বিলে স্বাক্ষর না করলে সরকার সাময়িক অচলাবস্থায় পড়তো। অচলাবস্থা এড়াতে কংগ্রেসকে সাময়িক সরকারি তহবিলের অনুমোদনে সম্মত হতে হত।

ট্রাম্পের অসম্মতির কারণে ১ কোটি ৪০ লাখ মার্কিন নাগরিকের বেকারভাতা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। বিলে স্বাক্ষর করায় এখন তা আবার চালু হবে। ট্রাম্প কেন অবশেষে স্বাক্ষর করতে সম্মত হলেন তা এখনো পরিষ্কার নয়। কংগ্রেসে রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাটিক দুই দিক থেকেই তার ওপর চাপ আসছিল।

ট্রাম্পের অসম্মতি সম্পর্কে রিপাবলিকান সিনেটোর প্যাট টুমি বলেছিলেন, প্রেসিডেন্টকে ‘নৈরাজ্য, দুঃখ ও বিশৃঙ্খলা আচরণের জন্য’ মনে রাখা হবে এমন ঝুঁকি তিনি নিতে যাচ্ছেন। নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গতকাল বলেন, ট্রাম্প স্বাক্ষর করতে দেরি করলে এর ফলাফল হবে ধ্বংসাত্মক।

বাইডেন বলেন, ‘এটা বড়দিনের পরের দিন আর লাখ লাখ পরিবার জানে না যে তারা কোনো ব্যবস্থা করতে পারবে কিনা। কংগ্রেস এবং দুই দল থেকেই বিপুল সমর্থনে বিল পাস হওয়ার পরেও ট্রাম্পের বিরোধীতার কারণে এই অবস্থা তৈরি হয়েছে।’

ত্রাণ তহবিলে মার্কিন নাগরিকদের জন্য অর্থ সহায়তা ৬শ ডলারের পরিবর্তে ২ হাজার ডলার করার দাবি জানিয়েছিলেন ট্রাম্প। এই বিল নিয়ে সন্তুষ্ট নয় বলে এ সপ্তাহে যখন তিনি জানান, তখন তা অবাক করেছে রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাট উভয় দলের সদস্যদেরই।

দীর্ঘ বিতর্কের পরে হোয়াইট হাউসের সম্মতিক্রমে রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাটরা এই প্রণোদনা প্যাকেজে সম্মত হন। কংগ্রেস বিলের পক্ষে ভোট দেয়ার আগ পর্যন্ত এই বিলের ব্যাপারে কোনো আপত্তি তোলেননি ট্রাম্প।

এমকে/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।