জ্বালানি তেল মাপে কম দেয়ায় বরিশালে বিক্ষোভ
মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিমিটেডর বরিশাল ডিপো থেকে জ্বালানি তেল মাপে কম দেয়ার অভিযোগে বিক্ষোভ করেছে ক্রেতারা। বৃহস্পতিবার বিকেলে নগরীর বান্দ রোডের মেঘনা পেট্রোলিয়ামের ডিপোতে এ ঘটনা ঘটে।
প্রতি ব্যারেলে এক লিটার থেকে তিন লিটার তেল কম পাওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে জ্বালানি তেল মালিক সমিতি ও ট্যাংকলরি মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ ডিপোতে গিয়ে বিক্ষোভ করেন।
জ্বালানি তেলের ক্রেতারা অভিযোগ করেন, নগরীতে ২০ থেকে ২৫ জন জ্বালানি তেল এজেন্ট রয়েছেন। তাদের মাধ্যমে গ্রামগঞ্জে কয়েকশ গ্রাহক দৈনিক ৮শ থেকে এক হাজার ব্যারেল তেল নেয়। কিন্তু মেঘনাসহ অন্যান্য ডিপোতে দীর্ঘদিন ধরে জ্বালানি পরিমাপে কম দেয়া হচ্ছে। এ নিয়ে ডিলার ও এজেন্টদের সঙ্গে ট্রলার মাঝিদের প্রায়সই ঝামেলা বেধে যায়।
বিকেলেও এনিয়ে ডিপো কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ঝামেলা বাধে। ঝামেলার খবর শুনে বরিশাল জেলা জ্বালানি তেল মালিক সমিতির সভাপতি আলাউদ্দিন আলো, সাধারণ সম্পাদক স্বপন খান, বরিশাল বিভাগীয় ট্যাংকলরি মালিক সমিতি সভাপতি এনায়েত হোসেন খান সেন্টুসহ নেতৃবৃন্দরা ডিপোতে যান। বিক্ষোভের এক পর্যায়ে ডিপো কর্তৃপক্ষ তদের থামাতে বৈঠকে বসে।
জেলা জ্বালানি তেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক স্বপন খান জানান, তারা ডিপোতে গিয়েছিলেন ডিজেল পরিমাপে সঠিক দেয়া হচ্ছে কি-না তা দেখতে। সেখানে গিয়ে তেল মাপা হলে ব্যারেলে হাফ লিটার কম পাওয়া গেছে। তিনি বলেন, টাকা দিয়ে তেল কেনা হয়। এরপরও পরিমাপে কম দেয়া হয় বলে অভিযোগ করেন তিনি।
বরিশাল বিভাগীয় ট্যাংক লরি মালিক সমিতি সভাপতি এনায়েত হোসেন খান সেন্টু জানান, ট্রলার মাঝিদের অভিযোগের ভিত্তিতে তারা মেঘনা ডিপোতে গিয়েছিলেন। ডিপো কর্তৃপক্ষ বলেছে মেশিনে ত্রুটি থাকায় তেল কম গিয়ে থাকতে পারে। মেশিনে যেটুকো ত্রুটি আছে তা ঠিক করা হবে।
মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিমিটেডের উপব্যবস্থাপক জালাল উদ্দিন আহমেদ জানান, মেশিনে ত্রুটি ছিল বিধায় একটি গাড়িতে সমস্যা দেখা দিয়েছে। ওনারা (তেল গ্রাহক) এসেছিলেন পরিমাপে তেল ঠিক দেয়া হয় কি-না তা যাচাই করতে। পরে বৈঠক করে মেশিনে ত্রুটির কথা তাদের বলা হয়। এটা তেমন কিছু নয়।
বিএসটিআইয়ের বরিশাল জেলার উপপরিচালক মো. আমিনুল হক জানান, তেল ডিপোগুলোকে তারা তদারকি করে থাকনে। এমনকি সম্প্রতি সরকার এ বিষয়টি যাচাই বাছাইয়ের জন্য একটি কমিটি করে দিয়েছে। ওই কমিটিও শিগগিরই মাঠে নামবে। তিনি বলেন, পরিমাপে তেল কম দেয়ার সুস্পষ্ট অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সাইফ আমীন/বিএ