নিবন্ধনে উত্তীর্ণদের মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ


প্রকাশিত: ০২:০২ পিএম, ১২ নভেম্বর ২০১৫

দ্বাদশ শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উর্ত্তীণদের মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, ‘বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ আইন ২০০৫’ সংশোধনের আগে নিবন্ধন পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের কারণে মৌখিক পরীক্ষা হবে না। মেধা তালিকা অনুযায়ী নিয়োগ পাবেন তারা।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, এখন থেকে বিসিএস পরীক্ষার মতো বংলাদেশ কর্মকমিশন (পিএসসি) এর আদলে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কেন্দ্রীয়ভাবে শিক্ষক নিয়োগ দেবেন বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)।

সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য গত ২২ অক্টোবর থেকে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়োগ কার্যক্রম বন্ধ রাখার পরিপত্র জারি করা হয়েছে। নতুন নিয়মে শিক্ষক নিয়োগ দেয়ার বিষয়ে শিগগিরই একটি পরিপত্র জারি করা হবে।

এদিকে,  গত মঙ্গলবার এনটিআরসিএ দ্বাদশ শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার ফল প্রকাশ করেছে। প্রকাশিত ফলে-স্কুল পর্যায়ে ২৪ হাজার ৭৪৩ জন, স্কুল-২ পর্যায়ে ৭১৯ জন, কলেজ পর্যায়ে ২১ হাজার ৫৭৭ জন পাস করেছে।

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগ বন্ধের ঘোষণায় দ্বাদশ শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, ‘বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ আইন ২০০৫’ এর বিধিমালা সংশোধনের আগেই দ্বাদশ শিক্ষক নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়েছে। তাই লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মৌখিক পরীক্ষা নেয়া হবে না। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মেধার ক্রমানুসারে একটি তালিকা করা হবে। সে অনুযায়ী তারা নিয়োগ পাবেন।

এর আগে যারা উত্তীর্ণ হয়েছেন এবং যাদের সনদের মেয়াদ আছে তাদের নিয়ে আরেকটি মেধাতালিকা করা হবে। এসব বিষয় নতুন পরিপত্রে স্পষ্ট করা হবে।

জানতে চাইলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (মাধ্যমিক-১) রুহী রহমান বলেন, দ্বাদশ শিক্ষক নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি সংশোধিত বিধিমালা জারির আগেই প্রকাশিত হয়েছে। তাই এ ক্ষেত্রে আগের নিয়ম অনুযায়ী মৌখিক পরীক্ষা হবে না। নতুন পরিপত্র জারি হলেই সব কিছু স্পষ্ট হয়ে যাবে।

প্রসঙ্গত, নতুন নিয়মে এনটিআরসিএ প্রতিবছর নভেম্বরের মধ্যে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার মাধ্যমে ওই জেলার বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর পদ ও বিষয়ভিত্তিক শূন্য পদের তালিকা সংগ্রহ করবে।

ওই তালিকার ভিত্তিতে প্রথমে একটি বাছাই (প্রিলিমিনারি) পরীক্ষা হবে। এরপর ঐচ্ছিক বিষয়ে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মৌখিক পরীক্ষা নেয়া হবে। মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের উপজেলা, জেলা ও জাতীয়ভিত্তিক মেধাতালিকা প্রকাশ করা হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে এই মেধাক্রম অনুযায়ী শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে।

মেধাভিত্তিক মূল তালিকা ছাড়াও শূন্য পদের ২০ ভাগ প্রার্থীর সমন্বয়ে অপেক্ষমাণ তালিকাও প্রকাশ করবে। কোনো শিক্ষকের মৃত্যু ঘটলে, চাকরি ছাড়লে বা অন্য কোনো কারণে পদ শূন্য হলে ওই তালিকা থেকে শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে।

এনএম/এসকেডি/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।