‘এ ডিফরেন্ট রোমিও-জুলিয়েট’ মঞ্চায়ন করবে ব্রিটিশ কাউন্সিল


প্রকাশিত: ১০:৩২ এএম, ১২ নভেম্বর ২০১৫

শেক্সপিয়ারের ৪শ’তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ‘এ ডিফরেন্ট রোমিও-জুলিয়েট’ মঞ্চায়ন করবে ব্রিটিশ কাউন্সিল। বৃহস্পতিবার ফুলার রোডে অবস্থিত ব্রিটিশ কাউন্সিল কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত একটি সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেয়া হয়।

আগামী বছর ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী তরুণ শিল্পীদের নিয়ে যুক্তরাজ্যের গ্রেয়াই থিয়েটার ও বাংলাদেশের ঢাকা থিয়েটার যৌথভাবে শেক্সপিয়ারের নাটকটি মঞ্চস্থ করবে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশের ডিরেক্টর বারবারা উইকহ্যাম ও ডেপুটি ডিরেক্টর ম্যাট পিউসি। এ উদ্যোগের সাথে ব্র্যাকসহ আরও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানও রয়েছে।
 
ব্রিটিশ কাউন্সিল এ উদ্যোগের নাম দিয়েছে ‘এ ডিফরেন্ট রোমিও অ্যান্ড জুলিয়েট’। নাটকটিতে যৌথভাবে নির্দেশনা দেবে গ্রেয়াই থিয়েটারের আর্টিস্টিক ডিরেক্টর জেনি সিলি ও ঢাকা থিয়েটারের ডিরেক্টর নাসির উদ্দীন ইউসুফ।

সেন্টার ফর দ্য রিহ্যাবিলিটেশন ফর দ্য প্যারালাইজড (সিআরপি) বাংলাদেশ, ব্র্যাক, বাংলাদেশ রিফর্ম ইনিশিয়েটিভ ফর ডেভেলপমেন্ট, গভর্নেন্স অ্যান্ড এমপাওয়ারমেন্ট (ব্রিজ) অ্যান্ড গ্রাম থিয়েটার থেকে প্রতিবন্ধী শিল্পীরা এ নাটকে অংশ নেবেন।
 
এ প্রকল্পের লক্ষ্য আগামী মার্চ মাসে জাতীয় শিল্পকলা একাডেমিতে এ নাটকের মঞ্চায়ন করা। সর্ব সাধারণের জন্য উন্মুক্ত নাটকটির দর্শক সারিতে উপস্থিত থাকবেন নীতি-নির্ধারক, প্রতিবন্ধীদের নিয়ে কাজ করে এমন সব সংস্থার লোকজন এবং শিল্পমোদীরা।

ব্রিটিশ কাউন্সিল এ প্রকল্প নিয়ে খুবই আশাবাদী। তারা ভবিষ্যতেও এটা ধারাবাহিকভাবে করতে চায়। ঢাকায় মঞ্চায়নের পর নাটকটি আরও পাঁচটি শহরে মঞ্চায়নের পরিকল্পনা রয়েছে। পাশাপাশি, দেশব্যাপী দর্শক টিভিতে নাটকটি দেখবে, নাটকের পুরো ভ্রমণ নিয়ে একটি তথ্যচিত্র নির্মিত হবে যা আন্তর্জাতিক দর্শকদের জন্য বিভিন্ন উৎসবে প্রদর্শিত হবে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এ অনুষ্ঠানটি ৫ কোটি মানুষের কাছে পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

প্রকল্পটি নিয়ে জেনি সিলি বলেন, আমি বাংলাদেশে বধির ও অন্যান্য প্রতিবন্ধীদের মধ্যে প্রতিভা অণ্বেষণের এ যাত্রার অংশ হতে পেরে সম্মানিত বোধ করছি। এ প্রকল্পটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ কেননা বধির ও স্বাভাবিক দৃষ্টিতে অক্ষম মানুষেরা কি করতে পারে এ নিয়ে মানুষের ধারণা বদলে দেবে এ প্রকল্প। বিশ্বের অনবদ্য প্রেমাখ্যান ‘রোমিও-জুলিয়েট’ মঞ্চায়নে অংশ নিবে এসব শিল্পী। এ প্রকল্পের মাধ্যমে আমরা নতুন একটি পৃথিবী তৈরি করব যেখানে সবারই ভালোবাসার এবং ভালোবাসা পাওয়ার অধিকার থাকবে।
 
নাসির উদ্দীন ইউসুফ তার বক্তব্যে বলেন, শেক্সপিয়ারের কাজ সময় ও সংস্কৃতির সীমা পেরিয়ে গেছে। তাঁর কাজের ওপর ভিত্তি করে গড়া এ প্রকল্পের লক্ষ্য ভাবনার উদ্রেক করে এমন বার্তার মাধ্যমে একটি বৃহৎ দর্শক শ্রেণির সাড়া পাওয়া। আর এমন একটি প্রকল্পের সাথে জড়িত থাকতে পেরে আমি সম্মানিত বোধ করছি।  

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সংস্কৃতি মঞ্চে ‘রোমিও-জুলিয়েট’র শাশ্বত কাহিনীকে সবার সামনে উপস্থাপন করবে  অত্যন্ত মেধাবী তরুণ প্রতিবন্ধী শিল্পীরা। তারা সবাইকে দেখিয়ে দেবে যে ইচ্ছা, পরিকল্পনা ও অনুশীলনের বলে সব বাঁধাকেই জয় করা যায়। ভিন্নভাবে চিন্তা করার জন্য ব্রিটিশ কাউন্সিলকে ধন্যবাদ।
 
এসকেডি/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।