এমপি নিজাম হাজারীর বিরুদ্ধে রিট : বিব্রত বিচারপতি


প্রকাশিত: ১০:০০ এএম, ১২ নভেম্বর ২০১৫

ফেনী- ২ আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারীর আসন শূন্য ঘোষণা নিয়ে জারি করা রুলের শুনানিতে বিব্রতবোধ করেছেন হাইকোর্টের এক বিচারপতি। বৃহস্পতিবার বিচারপতি জিনাত আরা ও বিচারপতি একেএম সাহিদুল হকের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে এ শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় বিচারপতি একেএম সাহিদুল হক মামলাটির শুনানিতে বিব্রবতবোধ করেন বলে জানেয়েছেন রিট আবেদনের পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ।

নিয়ম অনুযায়ী মামলাটি এখন প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠানো হবে। তিনি মামলা শুনানির জন্য নতুন বেঞ্চ গঠন করে দেবেন। অস্ত্র মামলায় সাজা কম খাটার অভিযোগ এনে স্থানীয় এক যুবলীগ নেতা শওকত হোসেন নিজাম হাজারীর বিরুদ্ধে রিট আবেদন করেন। এ রিটের শুনানি নিয়ে ২০১৪ সালের ৮ জুন রুল জারি করেন হাইকোর্ট।

ওইসময় রিট আবেদনের পক্ষের আইনজীবী মনজিল মোরসেদ জানান, প্রথম আলো পত্রিকায় এসেছে নিজামউদ্দিন হাজারী একটি অস্ত্র মামলায় সাজা কম খেটেছেন। এ ক্ষেত্রে তিনি হলফনামায় তথ্য গোপন করেছেন।

এছাড়াও সংবিধানের ৬৬ (২) অনুচ্ছেদে রয়েছে, কোনো ব্যক্তি সংসদের সদস্য নির্বাচিত হইবার এবং সংসদ-সদস্য থাকিবার যোগ্য হইবেন না, তিনি যদি নৈতিক স্খলনজনিত কোন ফৌজদারী অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হইয়া অন্যূন দুই বৎসরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন এবং তাঁহার মুক্তিলাভের পর পাঁচ বৎসরকাল অতিবাহিত না হইয়া থাকে|

আর নিজাম হাজারীর ২০০০ সালের ১৬ আগস্ট অস্ত্র আইনের ১৯(ক) ধারায় ১০ বছর এবং ১৯(চ) ধারায় সাত বছরের কারাদণ্ড হয়।

চট্টগ্রাম নগরের ডবলমুরিং থানায় দায়ের করা মামলায় চট্টগ্রামের চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত ও বিশেষ ট্রাইব্যুনাল তাকে এই সাজা দিয়েছিলেন। উভয় দণ্ড একসঙ্গে চলবে বলে রায়ে বলা হয়। অর্থাৎ ১০ বছর সাজা ভোগ করবেন নিজাম হাজারী।

সেই হিসেবে তিনি ২০১৫ সালের আগে সংসদ সদস্য হইবার যোগ্য নয়। অথচ তিনি সাজাও কম খাটেন আবার সংবিধানও মানেননি। তাই তার পদ অবৈধ।

এফএইচ/এসকেডি/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।