এমপি রানাকে গ্রেফতারে বাধা নেই


প্রকাশিত: ০৯:০৪ এএম, ১২ নভেম্বর ২০১৫

মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হত্যার মামলায় টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানা এবং তার ছোট ভাই পৌর মেয়র শহিদুর রহমান মুক্তিকে গ্রেফতার বা হয়রানি না করা সংক্রান্ত হাইকোর্টের আদেশ বাতিল করেছেন আপিল বিভাগ। এই আদেশের ফলে এমপি রানা ও তার ভাইকে গ্রেফতারে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একরামুল হক টুটুল।

বৃহস্পতিবার সুপ্রিমকোর্টের বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানার নেতৃত্বে তিন সদস্যের বেঞ্চ আপিল বিভাগের বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

এর আগে গত ১৪ জুলাই রানার পক্ষে করা এক আবেদনের শুনানি শেষে দুই সপ্তাহের মধ্যে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পনের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। ওই আদেশ স্থগিত চেয়ে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। তা শুনানির পর এই আদেশ দেয় আপিল আদালত।

আদালতে রানার পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিক-উল হক। অন্যদিকে, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুর্টি অ্যাটর্নি জেনারেল একরামুল হক টুটুল।

গত ১২ জুলাই মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হত্যা মামলায় সংসদ সদস্য রানা ও তার ভাই সাঈদুর রহমানের জামিন চেয়ে আবেদন করেন তাদের আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক। এই আবেদনের ওপর শুনানি করে অবকাশকালীন সংশ্লিষ্ট বেঞ্চ তাদেরকে আত্মসমর্পনের নির্দেশ দেন।

২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি টাঙ্গাইল শহরের কলেজ পাড়া এলাকায় নিজ বাসার কাছ থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধা আওয়ামী লীগ নেতা ফারুক আহমেদের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে তার স্ত্রী নাহার আহমেদ বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে টাঙ্গাইল সদর থানায় মামলা করেন।

তদন্ত করে টাঙ্গাইল গোয়েন্দা পুলিশ গত আগস্টে এমপির ঘনিষ্ঠ সহযোগী আনিসুল ইসলাম (রাজা) ও মোহাম্মদ আলীকে আটক করে রিমাণ্ডে নেয়। গত ২৭ আগস্ট রাজা এবং ৫ সেপ্টেম্বর মোহাম্মদ আলী টাঙ্গাইল বিচারিক হাকিম আদালতে এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দেন। জবানবন্দিতে ফারুক আহমেদ হত্যার সঙ্গে সংসদ সদস্য আমানুর, মেয়র মুক্তি এবং তাদের অপর দুই ভাই জাহিদুর ও বাপ্পার জড়িত থাকার কথা উঠে আসে।

এফএইচ/জেডএইচ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।