পদ্মা পাড়ের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ হাইকোর্টের
মুন্সীগঞ্জ ও মাদারীপুর জেলাধীন পদ্মাপাড়ের সব অবৈধ স্থাপনা সরানোর জন্য নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে আগামী এক মাসের মধ্যে এসব এলাকার সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে একটি প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। মুন্সীগঞ্জ ও মাদারীপুরের ডিসি ও এসপিকে এ নির্দেশনা পালন করতে বলেছেন আদালত।
জনস্বার্থে দায়ের করা এক রিট আবেদনের শুনানিতে বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন। একইসঙ্গে অবৈধ স্থাপনার সঙ্গে জড়িত গ্রেফতারকৃত ৩ জনের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে মামলা দায়েরের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আগামী ১৩ ডিসেম্বর আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেছে। এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য ১৩ ডিসেম্বর দিন ধার্য করা হয়েছে।
এ সময় আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন সাবেক বিচারপতি এবিএম আলতাফ হোসেন এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যার্টনি জেনারেল তাপস কুমার বিশ্বাস। আইনজীবী ও হাইকোর্টের সাবেক অতিরিক্ত বিচারপতি ব্যারিস্টার এবিএম আলতাফ হোসেন বিষয়টি জানিয়েছেন।
এর আগে গত ২ নভেম্বর প্রথম আলোয় ২৭ অক্টোবর ‘কাউরাকান্দি-শিমুলিয়া নৌ-পথে পদ্মা নদীতে অবৈধ ভাবে বাশের বেড়া দিয়ে মাছ ধরা হচ্ছে’ এই শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে রিট আবেদন করা হয়। জনস্বার্থে রিট আবেদনটি করেন রুলার (রাজশাহী ইউনিভার্সিটি ল, অ্যাসোসিয়েশন) প্রেসিডেন্ট অ্যাডভোকেট কামরুজ্জামান কচি। রিটে স্বরাষ্ট্রসচিব, পরিবেশসচিব, পানি সম্পদ সচিব, পুলিশেরর আইজিপি, মাদারীপুর-মুন্সিগঞ্জের ডিসি-এসপি সহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়। ওই দিন হাইকোর্ট রুল জারি করেন।
রুলে হাইকোর্টের একই বেঞ্চ ‘অবৈধ স্থাপনা অপসারণে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না’ তা জানতে চাওয়া হয়। একইসঙ্গে অবৈধ স্থাপনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারের নির্দেশ দেয়া হয়। নির্দেশ মোতাবেক গ্রেফতার কৃত ৩ জনকে আদালতে হাজির করা হয় পরে ওই দিন সকল অবৈধ স্থাপনা অপসারণের নির্দেশ দেন আদালত।
এফএইচ/এআরএস/আরএস/আরআইপি