ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির দায়ে ৪ জনের কারাদণ্ড


প্রকাশিত: ০১:৩১ পিএম, ১০ নভেম্বর ২০১৫

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের সম্মান প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির দায়ে চার পরীক্ষার্থীকে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

মঙ্গলবার বিকেলে ভ্রাম্যমাণ আদালতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুকলা সরকার এ দণ্ডাদেশ দেন। এছাড়া অসদুপায় অবলম্বনের অভিযোগে আরো পাঁচজনকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।

কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের মজিবুর রহমানের ছেলে শরীফুল ইসলাম, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ফিরোজ আহমেদ, বগুড়ার খান্দার এলাকার আফছার আলীর ছেলে ফজলে রাব্বী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী জামাল আহমেদ।

অসদুপায় অবলম্বনের অভিযোগে আটকরা হলো, রাজশাহীর বাগমারার ফিরোজ হোসেন, রাবির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ফরহাদ হোসেন, রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী বখতিয়ার হোসেন, রাজশাহী কলেজের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী নাহিদ আকতার সুমন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী মোহাব্বত হোসেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক তারিকুল হাসান জানান, `ই` ইউনিটের পরীক্ষা চলাকালে শরীফুল ইসলাম ও ফিরোজ আহমেদ অন্যের পরীক্ষার প্রক্সি দেওয়ার অভিযোগে বহিষ্কার করে প্রক্টর দফতরে পাঠানো হয়। অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় সেখানে ভ্রাম্যমাণ আদালতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুকলা সরকার তাদের এক বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও এক হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ১৫ দিন কারাদণ্ড প্রদান করেন।

এদিকে, `ডি` ইউনিটের পরীক্ষা চলাকালে উত্তরপত্রের সেট কোডের ফাঁকা বৃত্তে কালো টিপ ব্যবহার করার অভিযোগে ফজলে রাব্বীকে বহিষ্কার করা হয়। তাকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। একই ইউনিটের জামাল আহমেদকে হলে বিশৃঙ্খলা করার অভিযোগে বহিষ্কার করা হয়। তাকে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

`ই` ইউনিটের পরীক্ষা চলাকালে নিজেদের মধ্যে দেখাদেখির অভিযোগে ফিরোজ হোসেন ও ফরহাদ হোসেনকে এবং অন্যকে সাহায্য করার অভিযোগে বখতিয়ার হোসেন, নাহিদ আকতার সুমন ও মোহাব্বত হোসেনকে বহিষ্কার করা হয়। পরে তাদের পুলিশে সোপর্দ করে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

প্রসঙ্গত, সকাল ৯টা থেকে ১০টা পর্যন্ত `ই` ইউনিটের বিজোড়, সকাল ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত একই ইউনিটের জোড় এবং দুপুর ১টা থেকে ২টা পর্যন্ত `ডি` ইউনিটের বিজোড় রোল নম্বর এবং বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে সাড়ে ৪টা ইউনিটের জোড় রোল নম্বরধারীদের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

রাশেদ রিন্টু/এআরএ/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।