শামছুদ্দিন ও নাসির সাক্ষীর বাবাসহ ৯ জনকে গুলি করে


প্রকাশিত: ০৩:২৩ পিএম, ০৯ নভেম্বর ২০১৫

একাত্তরে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় কিশোরগঞ্জ জেলা বারের আইনজীবী মো. শামসুদ্দিন আহমেদ ও এটিএম নাসিরের মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের ষষ্ঠ সাক্ষী মো. শাহজাহান ও সপ্তম সাক্ষী মুজিবুর রহমান মঙ্গল তাদের জবানবন্দি পেশ করেছেন।

নিজ সাক্ষ্যে শাহজাহান বলেন, আসামি শামছুদ্দিন এটিএম নাসিরসহ রাজাকাররা আমার বাবাসহ ৯ জন নিরীহ লোককে গুলি করে হত্যা করে। যা আমি নিজের চোখে দেখেছি।

সোমবার ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি এম আনোয়ারুল হকের নের্তৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে তিনি তার জবানবন্দি পেশ করেন। মামলার পরবর্তী কার্যক্রমের জন্য আগামী ১১ নভেম্বর দিন ঠিক করেন ট্রাইব্যুনাল।

সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণে সহায়তা করেন প্রসিকিউটর সুলতান মাহমুদ সীমন ও রেজিয়া সুলতানা চমন। জবানবন্দি শেষে সাক্ষীদের জেরা করেন রাষ্ট্র নিয়জিত আইনজীবী আব্দুস শুকুর খান।

সাক্ষী মো. শাহজাহান বলেন, আমার বাড়ি কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ থানার আয়লা গ্রামে। একাত্তরের ১২ নভেম্বর গাজী মো. মান্নানের নের্তৃত্বে আসমি অ্যাড. শামছুদ্দিন, এটিএম নাসির, মো. হাফিজ উদ্দিন ও মো. আজহারুল ইসলামসহ সহ ৭০ থেকে ৮০ জন রাজাকার আমাদের আয়লা গ্রামসহ বিদ্যানগর, ফতেরগোপ, কিরাটন বিল এলাকায় হামলা চালায়। তারা স্বাধীনতার পক্ষের লোকজনকে নির্যাতন করে। তারা আমার বাবাসহ ৯ জন লোককে হত্যা করে। যাদেরকে হত্যা করা হয় তাদের মধ্যে আমার বাবা আব্দুল মজিদ, আব্দুল জব্বার, হাবিবুল্লাহ, চান্দু শেখ, বারেক, মালু শেখ, সিরাজ ও আফতাব উদ্দিন ছিলো। বিদ্যানগরের হাসু মিয়া পায়ে গুলি খেয়ে আহত হন।

সাক্ষী আরো বলেন, একাত্তরের ১৩ নভেম্বর রাজাকাররা আয়লা গ্রামে পুনরায় আক্রমণ করে। রাজাকাররা আমাদের গ্রামে আক্রমণ করলে আমাদের গ্রামের গোলাপের বাবা মিয়া হোসেনকে রাজাকাররা গুলি করে হত্যা করে। আমি আমার বাবাসহ অন্যদের হত্যার বিচার চাই। আসামি শামছুদ্দিনকে সাক্ষীরা ট্রাইব্যুনালে সনাক্ত করেন।

এফএইচ/এসএইচএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।