মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের প্রমাণ পাওয়া যায়নি


প্রকাশিত: ১২:২০ পিএম, ০৯ নভেম্বর ২০১৫
ফাইল ছবি

এমবিবিএস বা বিডিএস ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। সোমবার বিকেলে জাতীয় সংসদে ঢাকা-৫ আসনের হাবিবুর রহমান মোল্লার এক প্রশ্নের জবাবে একথা জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। বিকেল চারটা ৪০ মিনিটের দিকে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশন শুরু হয়।

সংসদে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস/বিডিএস ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার অভিযোগের ভিত্তিতে বিষয়টি তদন্তের জন্য মহাপরিচালক, স্বাস্থ্য অধিদফতর কর্তৃক অতিরিক্ত মহা-পরিচালক (পরিকল্পনা), স্বাস্থ্য অধিদপ্তর-কে আহ্বায়ক করে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়।

তিনি আরো জানান, কমিটি কাফরুল থানা হতে আলামত হিসেবে জব্দকৃত ৩৬ সেট প্রশ্নপত্রের সাথে ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস/বিডিএস ভর্তি পরীক্ষার মূল প্রশ্নপত্রের সাথে প্রতিটি প্রশ্ন পুঙ্খানুপূঙ্খরূপে যাচাই করে। কিন্তু জব্দকৃত ৩৬ সেট প্রশ্নের সাথে মূল প্রশ্নের কোন মিল খুঁজে পাওয়া যায়নি।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এছাড়াও বিভিন্ন সূত্র থেকে প্রাপ্ত অভিযোগও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে প্রশ্নপত্র ফাঁসের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

চাহিদার তুলনায় বিশেষায়িত চিকিৎসকের সংখ্যা অপ্রতুল :
নুরন্নবী চৌধুরীর (ভোলা-৩) এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দেশে বর্তমানে সরকারি বিভিন্ন বিভাগের জন্য বিশেষায়িত চিকিৎসকের সংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে দেশে বিদ্যমান সরকারি বিভিন্ন বিভাগের জন্য বিশেষায়িত (স্পেশালাইজড) ডাক্তারের সংখ্যা ৬ হাজার ৮ শ’ ৩৭টি। এই সংখ্যা দেশের চাহিদার তুলনায় যথেষ্ট নয়।

এজন্য বিশেষায়িত চিকিৎসক তৈরির লক্ষ্যে বর্তমান সরকার ইতোমধ্যে ১৩টি নতুন মেডিকেল কলেজ স্থাপন করেছেন বলে আরো জানান তিনি। বিশেষায়িত চিকিৎসক তৈরির প্রতিবন্ধকতা তুলে ধরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্য শিক্ষায় স্নাতকোত্তর পর্যায় বঙ্গবন্ধু  শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ব্যতীত দেশে অন্য কোন মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় না থাকায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সৃজনে চাহিদা অনুযায়ী শিক্ষা সুবিধা প্রদান করা যাচ্ছে না।

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক তৈরি করে দেশেই সাধারণ মানুষকে উন্নততর চিকিৎসা সেবা প্রদান নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রতিটি বিভাগীয় শহরে পর্যায়ক্রমে একটি করে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের বিষয়ে সরকারের পরিকল্পনা রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১১ মার্চ ২০১৪ তারিখে প্রধানমন্ত্রীরর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ‘জাতীয় স্বাস্থ্য কাউন্সিল’ এর সভায় চট্টগ্রাম ও রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় বলে আরো জানান মন্ত্রী।

এইচএস/এসএইচএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।