ডিভোর্স হলে মেলানিয়াকে ৬৮ মিলিয়ন ডলার দিতে হবে ট্রাম্পের
অডিও শুনুন
চারদিক থেকেই শুধু খারাপ খবর পাচ্ছেন বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। একদিকে নির্বাচনে হেরে গেছেন। অন্যদিকে স্ত্রী মেলানিয়া ট্রাম্পের সঙ্গে বিচ্ছেদের গুঞ্জন শুরু হয়েছে।
মার্কিন ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্পের এক আইনী পরামর্শদাতা জানিয়েছেন, যদি ডোনাল্ড ট্রাম্প ও মেলানিয়ার ডিভোর্স বাস্তবায়িত হয়, তবে স্ত্রীকে মোটা অঙ্কের অর্থ দিতে হবে ট্রাম্পকে। যা প্রায় ৬৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
১৫ বছর আগে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প ও মেলানিয়া। তবে বেশ কয়েক বছর ধরেই এই সম্পর্কটা শুধু চুক্তির ছিল বলে জানিয়েছেন তাদের ঘনিষ্ঠরা। হোয়াইট হাউস ছাড়ার পরেই ট্রাম্প ও মেলানিয়ার ডিভোর্স হবে। সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কিছু গণমাধ্যমে এমন খবর ছড়িয়ে পড়েছে।
মেলানিয়ার আইনি পরামর্শদাতা জানিয়েছেন, তিনি যে ধরনের জীবনযাত্রায় অভ্যস্ত সেখানে মোট অঙ্কের টাকা দিতে হবে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। উল্লেখ্য, ট্রাম্পের সঙ্গে বিচ্ছেদ হওয়া আগের দুই স্ত্রীকেও বেশ ভালো পরিমাণ অর্থ দিতে হয়েছে তাকে। ট্রাম্পের দ্বিতীয় স্ত্রী মার্লা ম্যাপেলস ২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার খোরপোষ পেয়েছিলেন।
ট্রাম্পের প্রথম স্ত্রী ইভানা ট্রাম্প পেয়েছিলেন ১৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। সঙ্গে পেয়েছেন কানেকটিকাটে একটি বাড়ি, নিউইয়র্কে একটি অ্যাপার্টমেন্ট, বছরে একবার করে ফ্লোরিডার বিলাসবহুল ম্যের এ ল্যাগো রিসোর্টে ভ্রমণের সুযোগ।
এ প্রসঙ্গে ডেইলি মেইলের এক প্রতিবেদনে ট্রাম্প প্রশাসনের এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে জানানো হয়েছে, যে কোনও দিনই বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্টকে বিবাহ বিচ্ছেদের নোটিশ পাঠাতে পারেন বিদায়ী ফার্স্ট লেডি।
উল্লেখ্য ওই কর্মকর্তা মেলানিয়া ট্রাম্পের সঙ্গে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তার দাবি ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তার স্ত্রীর সম্পর্ক মোটেও ভালো নয়। দীর্ঘদিন ধরেই সম্পর্কে ফাটল ধরেছে তাদের। মেলানিয়া এই নির্বাচনের ফল বেরোনো পর্যন্ত অপেক্ষা করছিলেন। এরপরেই তিনি তার সিদ্ধান্ত জানাবেন বলে উল্লেখ করেন ওই কর্মকর্তা।
মেলানিয়ার প্রাক্তন সহযোগী স্টেফনি ওয়োকঅফ তার উপদেষ্টা হিসেবেও কাজ করেছেন। তিনি দাবি করেছেন, হোয়াইট হাউসে ট্রাম্প ও মেলানিয়া পৃথক ঘরে থাকতেন। তাদের মধ্যে সম্পর্ক ছিল শুধুমাত্রা আর্থিক লেনদেনের।
একই তথ্য দিচ্ছেন মেলানিয়ার আরেক সহকর্মী ওমারোসা ম্যানিগল্ট নিউম্যান। তিনিও জানিয়েছেন, ট্রাম্প ও তার স্ত্রীর সম্পর্ক খাদের কিনারায় দাঁড়িয়ে আছে। যে কোনও মুহুর্তে তা ভেঙে যেতে পারে।
টিটিএন