বোমাতেই রুশ বিমান বিধ্বস্ত : তদন্তকারীরা ৯০ ভাগ নিশ্চিত


প্রকাশিত: ০৭:১৬ এএম, ০৯ নভেম্বর ২০১৫

বোমা হামলার কারণেই মিসরের সিনাইয়ে ২২৪ আরোহীবাহী রুশ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনা ঘটেছে বলে ৯০ ভাগ নিশ্চিত হয়েছেন তদন্তকারীরা। কর্মকর্তারা বলছেন, বিমানটি ভেঙে পড়ার সময় শেষ মুহূর্তে ককপিটের রেকর্ডিংয়ে যে শব্দ শোনা গেছে তা বোমার কারণে বিস্ফোরণের। রোববার মিসরের এক তদন্ত কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

সিনাইয়ের শারম এল শেখ বিমানবন্দর থেকে শনিবার সকাল ৫টা ৫১ মিনিটে রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গের উদ্দেশ্যে উড্ডয়নের মাত্র ২৩ মিনিটের মাথায় রাডারের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয় বিমানটির। রাশিয়ান এয়ারলাইন কোগালিমাভিয়ার এ-৩২১ নামের ওই বিমানটিতে যাত্রী ও ক্রুসহ মোট ২২৪ আরোহীর সবাই নিহত হয়েছেন। ইসলামিক স্টেট (আইএস) জঙ্গিরা বিমানটিকে বিধ্বস্তের দাবি করে আসছে। যদিও মিসর সরকার আইএসের এ দাবিকে নাকচ করে দিয়েছে। মিসরের প্রেসিডেন্ট বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় আইএসের দায় স্বীকারকে প্রচারণা বলে মন্তব্য করেছেন।

তদন্তদলের ওই কর্মকর্তা বলেন, এখন পর্যন্ত যে সব লক্ষণ দেখা গেছে এবং তথ্য বিশ্লেষণ করা হয়েছে তাতে ব্ল্যাকবক্সের শব্দটি বোমার বলেই ধারণা করা হচ্ছে। এটি যে বোমা সে ব্যাপারে আমরা ৯০ ভাগ নিশ্চিত। তদন্ত কমিটি এ পর্যন্ত জনসম্মুখে রুশ বিমান বিধ্বস্তের যে কারণ বলে এসেছে মিসরীয় তদন্তদলের এ সদস্যের কথায় তা আরো জোরদার করলো।

Sinai

এর আগে শনিবার প্রধান তদন্তকারী আয়মান আল মুকাদ্দাম বলেছিলেন, অটো-পাইলট সিস্টেমে চলার সময় বিমানটি মাঝ আকাশেই ভেঙে পড়েছিল। একইসঙ্গে তিনি বলেন, বিমানটি ভেঙে পড়ার শেষ সময়ে ককপিটে একটি আওয়াজ শোনা যায়। তবে এ ব্যাপারে নিশ্চিত করে কিছু বলার সময় এখনো আসেনি।

আইএস জঙ্গিদের বিমান বিধ্বস্তের দাবিই যদি শেষ পর্যন্ত সত্যি হয় তাহলে মিসরের পর্যটন শিল্প ঝুঁকির মুখে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আর এখন রাশিয়া, তুরস্ক, ও বেশ কয়েকটি ইউরোপীয় দেশ শারম আল শেখ এ ফ্লাইট বন্ধ করে দেওয়ায় তা আরো ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে।

রুশ বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার কারণ নিয়ে এখনো যে ১০ শতাংশ সংশয় রয়ে গেছে সে সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তদন্তকারী দলের ওই সদস্য এর ব্যখ্যা দিতে সম্মত হননি।

এসআইএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।