স্বাচিপ সভাপতি-মহাসচিবের ভাগ্য নির্ধারিত হবে ইলেকশনে


প্রকাশিত: ০৬:১২ পিএম, ০৮ নভেম্বর ২০১৫

সিলেকশন নয়, ইলেকশনের মাধ্যমে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) এর পরবর্তী সভাপতি ও মহাসচিবের ভাগ্যে নির্ধারিত হবে। সিলেকশন না-কি ইলেকশন-এ নিয়ে গত বেশ কিছুদিন যাবত শীর্ষ পদপ্রার্থীদের অনুসারী নেতাকর্মীদের মধ্যে নানামুখি প্রপাগান্ডা থাকলেও রোববার রাতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম তার বাসভবনে স্বাচিপের শীর্ষ নেতা ও নির্বাচন কমিশনের সদস্যদের বৈঠকে ডেকে জানিয়ে দিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চাইছেন সরাসরি ভোট গ্রহণের মাধ্যমে স্বাচিপের পরবর্তী সভাপতি ও মহাসচিব নির্বাচিত হোক।

মোহাম্মদ নাসিম নির্বাচন কমিশনকে সম্মেলনের দিন সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন করতে দ্রুত নির্বাচনী প্রক্রিয়া শুরু করার পরামর্শ দেন।

বৈঠকে উপস্থিত স্বাচিপ, বিএমএ ও নির্বাচন কমিশনের একাধিক সদস্য সূত্রে জানা গেছে, আজ (সোমবার) থেকে নির্বাচনে অংশগ্রহণে ইচ্ছুকদের কাছে নমিনেশন ফরম বিক্রি শুরু হয়ে হবে। স্বাচিপের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে নমিনেশন ফরম বিক্রি ১১ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে।

অফেরতযোগ্য নমিনেশন ফরমের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ২৫ হাজার টাকা। ১৩ নভেম্বর রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে বিকেল ৩টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হবে। সুষ্ঠুভাবে ও দ্রুততম সময়ের মধ্যে ভোটগ্রহণ শেষ করতে মোট ২০০টি বুথ স্থাপন করা হবে। এবার মোট ভোটারের সংখ্যা ১৩ হাজারেরও বেশি।

জানা গেছে, স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম রোববার তার বাসভবনে জরুরি বৈঠকটি ডাকেন। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ডা. সিএম দিলওয়ার রানা, সদস্যসচিব ডা.মোসাদ্দেক আহমেদ, সদস্য অধ্যাপক ডা. মো. ইসমাইল খান, সম্মেলন অভ্যর্থনা কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. শফিকুর রহমান, বিএমএ ও স্বাচিপ মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এম ইকবাল আর্সলান, বিএসএমইউ ভিসি অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান, প্রোভিসি (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ, স্বাচিপ সহ-সভাপতি অধ্যাপক ডা. আলী আজগর মোড়ল, বিএমএ সহ-সভাপতি অধ্যাপক ডা. আবদুর রউফ সর্দার ও স্বাচিপের যুগ্ম মহাসচিব ডা. জামালউদ্দিন চৌধুরী।

১৩ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য সম্মেলনের উদ্বোধনী পর্বে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সম্মেলন উদ্বোধন করবেন।

এর আগে শনিবার সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও স্বাচিপ সভাপতি অধ্যাপক ডা. আ ফ ম রুহুল হকের সভাপতিত্বে স্বাচিপের জাতীয় কমিটির বৈঠকে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা ভোটার তালিকা যথার্থতা সম্পর্কে আপত্তি তোলেন এবং ওই ভোটার তালিকায় নির্বাচন হলে সংঘর্ষের মতো ঘটনা ঘটার আশঙ্কা করেন। তারা কাউন্সিলরের মাধ্যমে নেতৃৃত্ব নির্ধারনের দাবিেতোলেন।

এ সময় স্বাচিপ সভাপতি জানান, সংবিধান সংশোধন করা ছাড়া কাউন্সিলরের মাধ্যমে নির্বাচন সম্ভব নয়। তখন সকলেই প্রধানমন্ত্রীর কাছে সমস্যাদি তুলে ধরে নির্দেশনা চাওয়ার সম্মিলিত দাবি জানান। তাদের এ দাবি পরবর্তীতে কেন্দ্রীয় কমিটিতে উপস্থাপন করা হয়।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে স্বাচিপ সভাপতি ডা. রুহুল হক জানান, ইসিতে ইলেকশন কিংবা সিলেকশন কোনোটিই পাশ হয়নি। প্রধানমন্ত্রী যা বলবেন তাই।

এমইউ/বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।

আরও পড়ুন