শিশু সাঈদ হত্যা : পলাতক মাসুমের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা


প্রকাশিত: ১১:২৮ এএম, ০৮ নভেম্বর ২০১৫

সিলেট নগরের রায়নগর এলাকার ৯ বছরের স্কুলছাত্র আবু সাঈদকে অপহরণ করে হত্যা মামলায় পলাতক আসামি মুহিবুর রহমান ওরফে মাহি হোসেন মাছুমের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি ও মালামাল ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। রোববার দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. আব্দুর রশীদ এই আদেশ দেন। এছাড়া আগামি ১৬ নভেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানির তারিখ নির্ধারণ করেন।

আলোচিত এই হত্যা মামলার শুনানি উপলক্ষে রোববার আদালতের কাঠগড়ায় এয়ারপোর্ট থানার বরখাস্তকৃত কনস্টেবল এবাদুর রহমান পুতুল, র‌্যাবের কথিত সোর্স আতাউর রহমান গেদা ও সিলেট জেলা ওলামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম রাকিবকে আদালতে হাজির করা হয়।

রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবী বিশেষ পিপি অ্যাডভোকেট মো. আব্দুল মালেক জানান, রোববার আসামী এবাদুর ও গেদার আইনজীবী আদালতে জামিনের আবেদন করেন। আদালত তাদের জামিন শুনানি শেষে জামিন না মঞ্জুর করেন।

মালেক জানান, এরপর গেদার তার ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রত্যাহারের জন্য আদালতে আবেদন জানান। তখন আদালত তার এ আবেদন মামলার নথিতে রেখে দেন। আগামি তারিখে এবিষয়ে শুনানি হতে পারে।

এর আগে, ২৯ অক্টোবর মূখ্য মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক সাহেদুল করিম চার্জ গঠনের তারিখ নির্ধারণের পর মামলাটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে নথিপত্র স্থানান্তর করে আট নভেম্বর মামলার শুনানির তারিখ নির্ধারণ করে দিয়েছিলেন।

গত ২৩ সেপ্টেম্বর সিলেট মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে অভিযোগপত্রটি দাখিল করেন মহানগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) আবদুল আহাদ চৌধুরী। অভিযোগপত্রের ওপর শুনানি অনুষ্ঠিত হয় গত ৭ অক্টোবর। ওই দিন আদালত অভিযোগপত্র আমলে নেন।

এর আগে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কোতোয়ালী থানার ভাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) মোশাররফ হোসাইন এসি প্রসিকিউশনের কাছে মামলার চার্জশিট (অভিযোগপত্র) হস্তান্তর করেন। অভিযোগ পত্রে এসএমপির এয়ারপোর্ট থানার কনস্টেবল (বরখাস্তকৃত) এবাদুর রহমান পুতুলসহ চারজনকে অভিযুক্ত করা হয়। অন্যরা হলেন র‌্যাব ও পুলিশের কথিত সোর্স আতাউর রহমান গেদা, সিলেট জেলা ওলামা লীগের সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম রাকিব ও প্রচার সম্পাদক মুহিবুর রহমান ওরফে মহি হোসেন মাছুম। এদের মধ্যে মাছুম পলাতক ও বাকিরা কারাগারে রয়েছেন।

গত ১১ মার্চ বেলা সাড়ে ১১টায় নগরীর রায়নগর থেকে স্কুলছাত্র আবু সাঈদকে (৯) অপহরণ করা হয়। পরবর্তীতে ১৩ মার্চ রাত সাড়ে ১০টায় পুলিশ কনস্টেবল এবাদুর রহমান পুতুলের কুমারপাড়াস্থ ঝরনারপাড় সবুজ-৩৭ বাসার ছাদের চিলেকোঠা একটি ঘর থেকে আবু সাঈদের অর্ধগলিত মরদেহ সাতটি পলিথিনের বস্তার মধ্যে মোড়ানো অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ।

এ ঘটনায় এয়ারপোর্ট থানার কনস্টেবল এবাদুর, পুলিশের সোর্স গেদা ও ওলামা লীগ নেতা রাকিবকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর এই তিনজনই ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

নিহত আবু সাঈদ নগরের রায়নগর শাহমীর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র ও রায়নগর দর্জিবন্দ বসুন্ধরা ৭৪ নম্বর বাসার আব্দুল মতিনের ছেলে। মতিনের গ্রামের বাড়ি সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার খাশিলা গ্রামে।

ছামির মাহমুদ/বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।