সৌদিতে ফরাসি কনস্যুলেটের প্রহরীকে ছুরিকাঘাত, হামলাকারী আটক
অডিও শুনুন
সৌদি আরবের জেদ্দায় ফরাসি কনস্যুলেটের এক নিরাপত্তাকর্মীকে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও তার অবস্থা আশঙ্কাজনক নয় বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার সৌদিতে অবস্থিত ফরাসি দূতাবাস এক বিবৃতিতে বলেছে, তারা এই হামলার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছে। কূটনৈতিক স্থাপনায় হামলা চরম অন্যায় বলে মন্তব্য করেছে তারা।
সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা জানিয়েছে, ফরাসি কনস্যুলেটে হামলাকারী সৌদি নাগরিক। তাকে আটক করা হয়েছে।
এদিকে, বৃহস্পতিবারই ফ্রান্সের নিস শহরের একটি গির্জায় ছুরি দিয়ে তিনজনকে হত্যা করেছে এক হামলাকারী। নিস শহরের মেয়র এ ঘটনাকে সন্ত্রাসী হামলা বলে উল্লেখ করেছেন।
ফ্রান্সের গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, ছুরি হামলায় নিহতদের একজন নারী। তার শিরশ্ছেদ করা হয়েছে। হামলার ১০ মিনিটের মাথায় সন্দেহভাজন একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
চলতি মাসের শুরুর দিকে মুসলিমদের ‘বিচ্ছিন্নতাবাদী’ এবং ‘ইসলাম বিশ্বব্যাপী সংকটাপন্ন এক ধর্ম’ মন্তব্য করে বিতর্ক উসকে দেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমান্যুয়েল ম্যাক্রোঁ। এর কিছুদিন পর ক্লাসরুমে মহানবী (স)-এর বিতর্কিত ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শনের পর এক শিক্ষকের শিরশ্ছেদ করেন এক মুসলিম যুবক।
এ ঘটনার জেরে ম্যাক্রোঁ ঘোষণা দেন, তার দেশ মহানবী (স)-এর ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শন বন্ধ করবে না। পরে দেশটির দু’টি সরকারি ভবনে প্রজেক্টরের মাধ্যমে বড় করে সেই বিতর্কিত ছবি দেখানো হয়।
এরপরই ক্ষোভের আগুন ছড়িয়ে পড়ে গোটা মুসলিম বিশ্বে। প্রিয়নবীকে অপমানের জবাবে শুরু হয় তুমুল বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ। দেশে দেশ ছড়িয়ে পড়ে ফ্রান্স বয়কটের ডাক। এমনকি, ফরাসি রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কারের দাবিও উঠেছে অনেক জায়গায়।
অনেকের মতে, ফরাসি প্রেসিডেন্ট উসকানিমূলক বক্তব্যের মাধ্যমে সব পক্ষকে উগ্রবাদের দিকে ঠেলে দিয়েছেন। তবে ইসলামি চিন্তাবিদরা বলছেন, প্রকৃত ইসলাম কখনোই উগ্রবাদ সমর্থন করে না।
সূত্র: রয়টার্স, পার্স টুডে
কেএএ/