মঙ্গলবারও দেশে ফিরছেন না খালেদা


প্রকাশিত: ০৫:২০ এএম, ০৮ নভেম্বর ২০১৫

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার দেশে ফেরা নিয়ে অনিশ্চয়তা কাটছে না। সর্বশেষ ১০ নভেম্বর মঙ্গলবার তার দেশে ফেরার কথা থাকলেও তিনি ফিরছেন না। দলীয় সূত্র থেকেও তার ফেরা না ফেরার ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট করে কিছু বলা হচ্ছে না। পনের দিন চিকিৎসা শেষে দেশে ফেরার কথা থাকলেও ইতোমধ্যে ছয়বার সিডিউল পরিবর্তন করেছেন তিনি।

বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, বর্তমানে লন্ডনে চিকিৎসাধীন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার দেশে ফেরা চিকিৎসকের পরামর্শে ক`দিন পিছিয়েছে। চিকিৎসকের ছাড়পত্র পাওয়া সাপেক্ষে তার ১০ নভেম্বরের মধ্যে দেশে ফিরে আসার কথা ছিল। গত ৪ নভেম্বর চিকিৎসকের সঙ্গে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর অ্যাপয়েন্টমেন্ট ছিল। ডাক্তার তাকে আরও কয়েকদিন পর্যবেক্ষণে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।

তিনি আরও বলেছেন, লন্ডন সফরে যাবার পর বিএনপি চেয়ারপার্সনের একটি চোখে অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। এখন তার চোখ এবং হাঁটুর চিকিৎসা চলছে। তিনি মোটামুটি সুস্থ আছেন। বর্তমানে তার দেশে ফেরার ব্যাপারে এমিরেটস এয়ারলাইন্সে বুকিং পরিবর্তন করে ১৬ নভেম্বর পুনঃনির্ধারণ করা হয়েছে। চিকিৎসকের ছাড়পত্র পেলে বেগম খালেদা জিয়া ঐ তারিখে দেশে ফিরবেন বলে আশা করা যাচ্ছে।

এর আগে মারুফ কামাল খান ও খালেদা জিয়ার একান্ত সচিব অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস জানিয়েছিলেন, ১০ নভেম্বর মঙ্গলবার দেশে ফিরবেন বিএনপি নেত্রী।

এদিকে খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে দলটিতে নেতৃত্ব শূন্যতা বিরাজ করছে। সম্প্রতি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে জেলে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া সারাদেশেই গ্রেফতার অভিযান চলছে।

বিএনপির নেতা-কর্মীরা বলছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শিগগিরই দেশে ফেরা উচিত। নাহলে বিএনপিকে নিয়ে সরকারের ষড়যন্ত্র আরও বাড়তে পারে। এছাড়া দল ভাঙার প্রক্রিয়ায়ও জড়িত হতে পারেন অনেকে।

উল্লেখ্য, গত ১৫ সেপ্টেম্বর চিকিৎসার জন্য লন্ডন যান খালেদা জিয়া। চিকিৎসা শেষে ১ অক্টোবর দেশে ফিরে আসার কথা ছিল তার। কিন্তু এখনো দেশে ফিরছেন না তিনি।

এমএম/আরএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।