ইসরায়েলের সঙ্গে সুদানের সম্পর্ক, কয়েকশো মিলিয়ন ডলার দিচ্ছে সৌদি
আমিরাত-বাহরাইনের পর ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করছে সুদান। যুক্তরাষ্ট্রের সন্ত্রাসবাদী রাষ্ট্রের তালিকা থেকে সুদানের নাম বাদের ঘোষণার পরপরই এ ঘোষণা আসে। খবর, তালিকা থেকে নাম বাতিলে যুক্তরাষ্ট্রকে সুদান যে ৩৩৫ মিলিয়ন ডলার দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, তা প্রকৃতপক্ষে শোধ করবে সৌদি আরব।
সুদান ও মিসরের সূত্রের বরাতে বার্তা সংস্থা সাফার প্রতিবেদন উদ্ধৃত করে এ খবর জানিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদ পর্যবেক্ষণ সংস্থা মিডল ইস্ট মনিটর। এই দুই দেশের সম্পর্ক স্বাভাবিকের চুক্তির ঘোষণা দিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প শুক্রবার বলেন, কমপক্ষে আরও ৫টি আরব দেশ ইসরায়েলের সঙ্গে শান্তিচুক্তি করতে চায়।
১৯৯৮ সালে মার্কিন দূতাবাস এবং ২০০০ সালে ইয়েমেনে মার্কিন রণতরি ইউএসএস কোলে হামলার শিকার ব্যক্তি ও পরিবারের ক্ষতিপূরণের জন্য সুদানের কাছে এ অর্থ দাবি করে ওয়াশিংটন। ট্রাম্পের এ শর্তের পর সৌদি আরবের ডি-ফ্যাক্টো নেতা ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান এতে মধ্যস্থতা করে এই প্রতিশ্রুতি দেন।
সোমবার ট্রাম্প এক টুইট বার্তায় লেখেন, ‘সুসংবাদ! সুদানের নতুন সরকার— যারা ভালোই উন্নতি করছে—সন্ত্রাসবাদের শিকার মার্কিন নাগরিক ও তাদের পরিবারকে ৩৩৫ মিলিয়ন ক্ষতিপূরণ দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এই অর্থ পেলেই সন্ত্রাসবাদের রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষক দেশের তালিকা থেকে বাদ দেয়া হবে সুদানের নাম।’
অবশ্য এর আগেই সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন করা রাষ্ট্রের তালিকা থেকে নাম বাদ পড়ার বদলে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে রাজি হয় সুদান। সূত্র বলছে, সন্ত্রাসী তালিকা থেকে মুক্ত হতে এই অর্থ আসলে সুদান দিচ্ছে না। সুদানের প্রধানমন্ত্রী এমন কথা বললেও প্রকৃতপক্ষে এই অর্থ পরিশোধ করছে সৌদি আরব।
আরব দেশগুলোর সংগঠন আরব লীগের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে সুদান তৃতীয় দেশ, যে ইসরায়েলের সঙ্গে স্বাভাবিক সম্পর্ক স্থাপন করছে। এর আগে ট্রাম্প প্রশাসনের মধ্যস্থতায় সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) ও বাহরাইন গত সেপ্টেম্বরে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার ঘোষণা দিয়ে দেশটির সঙ্গে চুক্তি করে।
এসএ/এমকেএইচ