জবির ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতি : তিন জনকে কারাদণ্ড
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের প্রথমবর্ষ সম্মান শ্রেণির ‘ডি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় এসএমএস জালিয়াতির দায়ে এক পরীক্ষার্থী এবং দুই জবি শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। শুক্রবার বিকেল ৪টায় জবি প্রক্টর অফিসে ভ্রাম্যমাণ আদালত তাদেরকে সাজা দেন।
সাজাপ্রাপ্তরা হলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের পঞ্চম ব্যাচের শিক্ষার্থী রাশিদুল ইসলাম, সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের একই ব্যাচের শিক্ষার্থী রাকিবুল এবং পরীক্ষার্থী মোকাম উদ্দীন গাজী।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মমতাজ বেগম বলেন, ভর্তি পরীক্ষার্থী মোকাম উদ্দীন গাজীকে জালিয়াতির দায়ে এক মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। এছাড়া, তাকে জালিয়াতি করতে সহায়তা করার অভিযোগে রাকিবুলকে পাবলিক পরীক্ষা আইন ১৯৮০ এর ৯ ধারা অনুযায়ী এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে এবং ভর্তি জালিয়াতি সহযোগিতা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে বিচারিক কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগে রাশিদুল ইসলামকে পাবলিক পরীক্ষা আইন ১৯৮০ এর ৯ ও ১১ ধারা অনুযায়ী দুই বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
প্রক্টর অফিস সূত্রে জানা গেছে, বাংলাবাজার গার্লস স্কুলস কেন্দ্রের ৩০৫ নং কক্ষ থেকে মোবাইলসহ আটক করা হয় মোকাম উদ্দীন গাজীকে। তাকে জালিয়াতিতে সাহায্য করার অভিযোগে জবির প্রধান ফটকের সামনে রাস্তার বিপরীত পাশে অবস্থিত ফুজি কালার ল্যাবের সামনে থেকে জবি শিক্ষার্থী রাশিদুল ইসলাম ও রাকিবুলকে আটক করা হয়।
উল্লেখ্য, এবার ‘ডি’ ইউনিটের ৫৬০টি আসনের (মানবিক-৩৫০, বিজ্ঞান-১৩৪ ও বাণিজ্য ও অন্যান্য-৭৬) বিপরীতে ৪৯ হাজার ৯৩০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষার জন্য আবেদন করে। প্রতি আসনের বিপরীতে ৮৯ জন শিক্ষার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেছেন।
জবি প্রক্টর ড, নূর মোহাম্মাদ বলেন, জালিয়াতির অভিযোগে এক শিক্ষার্থী এবং তার দুই সহযোগীকে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এছাড়া, ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতি রোধে সর্বোচ্চ কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
সুব্রত মন্ডল/এসকেডি/এমএস