শিশুরা ভ্যাকসিন পেতে পারে ২০২২ সালে : ডব্লিউএইচও

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫:৪৪ পিএম, ১৫ অক্টোবর ২০২০

করোনার ভ্যাকসিনের জন্য সুস্থসবল কমবয়সীদের হয়তো ২০২২ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এমনটাই জানাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এমনটাই জানিয়েছেন সংস্থাটির প্রধান বিজ্ঞানী সৌম্য স্বামীনাথম।

জাতিসংঘের স্বাস্থ্য বিষয়ক অঙ্গ সংস্থাটির প্রধান বিজ্ঞানী জানিয়েছেন, সংক্রমিতরা ছাড়াও ভ্যাকসিনে অগ্রাধিকার পাবেন ফ্রন্টলাইন কর্মীরা। সবার আগে প্রবীণদের ভ্যাকসিন দেয়া উচিত বলেও মনে করেন তিনি।

বুধবার একটি সোশ্যাল মিডিয়া ইভেন্টে সৌম্য স্বামীনাথম জানান, জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তারা প্রথমে প্রবীণ বা করোনায় সংক্রমিত হওয়ার বেশি ঝুঁকিতে রয়েছেনে, এমন গোষ্ঠীকে ভ্যাকসিন দেয়ার চেষ্টা করবেন। সে ক্ষেত্রে সুস্থসবল কমবয়সী অর্থাৎ শিশু-কিশোরদের হয়তো আরও বছর দুয়েক অপেক্ষা করতে হতে পারে।

তিনি বলেন, ‘বেশির ভাগ মানুষ এ কথা মানবেন যে স্বাস্থ্যকর্মীদের দিয়েই শুরু করা উচিত। এ ছাড়া, যারা সরাসরি করোনার বিরুদ্ধে লড়ছেন সেই ফ্রন্টলাইন কর্মীদেরও ভ্যাকসিনের টিকার প্রয়োজন বেশি। যদিও তাদের মধ্যে কারা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছেন, সেটাও খেয়াল রাখতে হবে।

প্রবীণ বা অন্যান্যরাও এ ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন আর তাই করোনার ভ্যাকসিনের জন্য একজন সুস্থ কমবয়সীকে হয়তো ২০২২ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতে পারে বলে জানান তিনি।

WHOবিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বিজ্ঞানী সৌম্য স্বামীনাথম

বিশ্বজুড়ে করোনার টিকা আবিষ্কারের কাজ চলছে দ্রুতগতিতে। এই মুহূর্তে কমপক্ষে ডজনখানেক ভ্যাকসিন রয়েছে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের শেষ পর্যায়ে। এ ক্ষেত্রে সামনের সারিতে থাকা জনসন অ্যান্ড জনসন বা অ্যাস্ট্রাজেনেকোর ট্রায়ালের সময় তাতে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন দু-একজন স্বেচ্ছাসেবক।

করোনার ওই ভ্যাকসিনগুলোর সুরক্ষা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। ফলে চলতি বছর বাজারে ভ্যাকসিন আসা নিয়েও সংশয় তৈরি হয়েছে। তবে ভ্যাকসিন আসলেও দ্রুত সবার কাছে পৌঁছানো নিয়েয়ে রয়েছে চ্যালেঞ্জ। ফলে ভ্যাকসিন আসলেও কারা আগে পাবেন তা নিয়ে কঠিন সিদ্ধান্তের মুখে ডব্লিউএইচওসহ বিশ্বের নানা দেশ।

ভ্যাকসিন ছাড়া ‘হার্ড ইমিউনিটি’র মাধ্যমে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সায় নেই ডব্লিউএইচও’র। সংক্রমণের বিস্তার ঠেকাতে হার্ড ইমিউনিটিতে ভরসা রাখলে প্রাণহানিরও আশঙ্কার কথাও জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞরা।

এ নিয়ে সৌম্য বলেন, ‘অনেকে হার্ড ইমিউনিটির কথা বলেন। আমাদের ভ্যাকসিনের মাধ্যমে লক্ষ্যে পৌঁছানোর কথা বলা উচিত। অন্তত ৭০ শতাংশ মানুষকে ভ্যকসিনে দিয়ে সংক্রমণের শৃঙ্খল ভাঙার কথা ভাবতে হবে।’

যত দিন পর্যন্ত হার্ড ইমিউনিটি লাভ করা যায়, তত দিন মাস্ক পরা, বার বার হাত ধোয়া বা শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে করোনাকে দূরে ঠেলে রাখায় জোর দিতে হবে বলেও মনে করে ডব্লিইএইচও।

এসএ/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।