দেশের উন্নয়ন কেউ দাবিয়ে রাখতে পারবে না : পানিসম্পদমন্ত্রী
পানিসম্পদমন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেছেন, কক্সবাজারের উন্নয়নের সঙ্গে বাংলাদেশের উন্নয়ন ও সম্মান জড়িত। উন্নয়নের মহাপরিকল্পনায় আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে কক্সবাজার উন্নত শহরে পরিণত হবে। শত বাধাঁর মাঝেও দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। দেশের উন্নয়নকে কেউ দাবিয়ে রাখতে পারবে না।
তিনি বলেন, ১২৯ কোটি টাকার প্রকল্পের মাধ্যমে অচিরেই কক্সবাজার থেকে কাউয়ারখোপ পর্যন্ত বাঁকখালী নদীর দু’পারে বেড়ি বাঁধ নির্মাণ করা হবে। বৃহস্পতিবার বিকেলে রামু উপজেলার বাঁকখালী নদীতে ‘রামু কেন্দ্রীয় নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা’র ফাইনাল খেলার পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
রামু কেন্দ্রীয় নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতার ফাইনাল খেলার পুরষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রামু সোনালী অতীত ফুটবল ক্লাবের সভাপতি ছিদ্দিক আহমদ।
রামু সোনালী অতীত ফুটবল ক্লাবের আয়োজনে নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতার পুরষ্কার বিতরণে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন প্রতিযোগিতার প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও কক্সবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, নারায়ণগঞ্জের সংসদ সদস্য ও ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম বাবু, কক্সবাজার-১ আসনের সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ ইলিয়াছ, কক্সবাজার সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য খোরশেদ আরা হক, রামু উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রিয়াজ উল আলম প্রমুখ।
উপজেলা যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক নীতিশ বড়ুয়ার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন রামু সোনালী অতীত ফুটবল ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক পলক বড়–য়া আপ্পু।
জাজেজ রেডি, গো। ঘোষকের মাইকে ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে বাঁকখালীর পানিতে তরঙ্গ তুলে ছুটে চলে দু’নৌকার আট মাঝি-মাল্লা। নদীর দু’পাড়ে হাজার হাজার শিশু-যুবক, নারী-পুরুষের উচ্ছ্বাস ধ্বনি ‘মারো মারো’। প্রিয় নৌকাবাইচ দলের মাঝি-মাল্লাকে দ্রুত দাঁড় বেয়ে এগিয়ে যেতে নদীর হাঁটু-কোমর পানিতে নেমেও ‘মারো মারো’ শব্দে উজ্জীবিত করেন সমর্থকরা।
প্রতিযোগিতার ফাইনালে প্রথম হয়েছে কক্সবাজার পিএমখালী যুব উন্নয়ন সংস্থা। দ্বিতীয় নতুন বাহিনী সমবায় সমিতি নোনাছড়ি, জোয়ায়রিানালা। পশ্চিম নোনাছড়ি ভাই ভাই সমিতি, জোয়ারিয়ানালা তৃতীয় স্থান অধিকার করে।
প্রতিযোগিতায় পিএমখালী যুব উন্নয়ন সংস্থা নৌকাবাইচ দলের মাঝিকে শ্রেষ্ঠ মাঝি ও শ্রেষ্ঠত্বের পুরষ্কার দেয়া হয়। তিন দিনের রামু কেন্দ্রীয় নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতায় রামু ও কক্সবাজারের ২২টি নৌকাবাইচ দল অংশ নেয়।
সায়ীদ আলমগীর/বিএ