করোনাজয়ী নিউজিল্যান্ডের এই ছবি ঈর্ষায় পোড়াচ্ছে সবাইকে
মাঠ ভর্তি দর্শক। নেই সামাজিক দূরত্ব বজায়ের বালাই। নেই মাস্ক পরার প্রয়োজন। সবচেয়ে বড় কথা, সময়ের বড় আতঙ্ক করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণের ভয়ও নেই। করোনার কারণে মৃত্যুপুরীতে পরিণত হওয়া বিশ্বের মানুষ এখন এমন দিনেরই স্বপ্ন দেখছে। তবে সেই স্বপ্নের দিন বাস্তব হয়ে ধরা দিয়েছে নিউজিল্যান্ডবাসীর কাছে।
গত রোববার (১১ অক্টোবর) ওয়েলিংটন স্টেডিয়ামে একটি রাগবি ম্যাচে এমন উচ্ছ্বসিত নিউজিল্যান্ডারদের দেখল বিশ্ব। করোনা আঘাত করার আগের স্বাভাবিক সময়ের মতো পাশাপাশি দাঁড়িয়ে-বসে ওই ম্যাচ উপভোগ করেছেন ৩০ হাজার দর্শক। সেই মুহূর্তের ছবি ছড়িয়ে পড়েছে সংবাদমাধ্যমে।
সংবাদমাধ্যম জানায়, করোনা পরিস্থিতির কারণে দীর্ঘ সাত মাস বন্ধ থাকার পর ১১ অক্টোবর (সাপ্তাহিক ছুটির দিন) ওই স্টেডিয়ামে রাগবি ম্যাচের আয়োজন করা হয়। এই ম্যাচ উপভোগে দর্শকদের জন্য ছিল না করোনা সংক্রান্ত কোনো বিধিনিষেধ।
প্রায় ৩০ হাজার দর্শক আসেন ম্যাচটি দেখতে। তাদের না ছিল কোনো মাস্ক, না ছিল সামাজিক দূরত্ববিধি মেনে চলার কোনো নির্দেশনা। স্বাভাবিক সময়ের মতো উচ্ছ্বসিত দর্শকদের ছবি অনলাইনে ছড়িয়ে পড়তেই প্রশংসার জোয়ারে ভাসতে থাকে নিউজিল্যান্ডের সরকার। বিশেষ করে করোনাকে ঠেকাতে দেশটির প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আর্ডানের নেতৃত্বের প্রশংসা করতে থাকেন নেটিজেনরা।
এমেট মরিসন নামে একজন ছবিটি তার টুইটার অ্যাকাউন্টে পোস্ট করে লেখেন, ‘এটা নিউজিল্যান্ডের একটি স্টেডিয়ামের গত সপ্তাহান্তের ছবি। (আসলে) এটাই হয় যখন সরকার যোগ্য হয় এবং সেই সরকারের ওপর দেশবাসীর ভরসা থাকে।’
রেক্স চ্যাপম্যান নামে যুক্তরাষ্ট্রের এক নাগরিক তার টুইটারে লেখেন, ‘আমরা আমেরিকানরা যখন ঘরে বসে ম্যাচ দেখছি, তখন নিউজিল্যান্ডের ছবি দেখুন।’
এ বছরের শুরুতে চীন থেকে করোনাভাইরাস বিশ্বব্যাপী ছড়াতে শুরু করলে তার বিস্তার রোধে কড়া পদক্ষেপ নেয় জেসিন্ডা আর্ডানের নেতৃত্বাধীন নিউজিল্যান্ড সরকার। সময়োপযোগী পদক্ষেপের ফলে জুন মাসে দেশকে পুরোপুরি করোনামুক্ত ঘোষণা করে সরকার। তারপর দ্বিতীয় দফায় সংক্রমণ ছড়াতে শুরু করলে আবারও কড়া বিধিনিষেধ জারি করা হয়। শেষ পর্যন্ত দ্বিতীয় ধাক্কাও সামলে বর্তমানে সংক্রমণ পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে দ্বীপরাষ্ট্রটিতে।
তবে এখন বাইরে থেকে কেউ নিউজিল্যান্ডে গেলে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। সেই সঙ্গে করাতে হবে করোনা পরীক্ষাও।
এইচএ/এমকেএইচ