আঞ্চলিক কেন্দ্রে সম্প্রসারিত করা হবে শিক্ষক প্রশিক্ষণ কার্যক্রম


প্রকাশিত: ০২:৪২ পিএম, ০৫ নভেম্বর ২০১৫

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. হারুন-অর-রশিদ বলেছেন, শিক্ষার মানোন্নয়নে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের কোনো বিকল্প নেই। এর মাধ্যমে শিক্ষকগণ জ্ঞানের স্ব-স্ব শাখায় প্রতিনিয়ত যে পরিবর্তন, সংযোজন, উদ্ভাবন হচ্ছে, তা আহরণ করে নিজেদের সমৃদ্ধ করার সুযোগ লাভ করেন। প্রতিষ্ঠার সময় থেকেই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কর্মকাণ্ডের মধ্যে কলেজ শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের উপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে।

সম্প্রতিকালে শিক্ষকদের এ প্রশিক্ষণ কার্যক্রমকে গতিশীল ও অধিকতর অংশগ্রহণমূলক করা হয়েছে। বছরে প্রায় ১২০০ শিক্ষক জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে থাকেন। প্রশিক্ষণ কার্যক্রমকে জোরদার ও প্রশিক্ষণের সুযোগ আরো বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছয়টি বিভাগীয় আঞ্চলিক কেন্দ্রে এ কার্যক্রমকে সম্প্রসারিত করার পরিকল্পনা আমাদের রয়েছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে একাডেমিক ভবনের সিনেট হল (৪র্থ তলায়) জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক পরিচালিত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজের সমাজকর্ম, রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও মনোবিজ্ঞান বিষয়ে ৯৬তম ব্যাচের শিক্ষক-প্রশিক্ষণার্থীদের কোর্স সমাপনী ও সনদ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এসব কথা বলেন তিনি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তর শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত ডিন প্রফেসর ড. মো. আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন প্রো-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আসলাম ভূইয়া, অধ্যাপক ড. মুনাজ আহমেদ নূর, ট্রেজারার অধ্যাপক মো. নোমান উর রশীদ ও কোর্স উপদেষ্টা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের প্রফেসর ড. আবুল হোসেন, মনোবিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ড. শামসুদ্দীন ইলিয়াস।

অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মোল্লা মাহফুজ আল-হোসেন, বিভাগীয় প্রধানগণ এবং শিক্ষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, সর্বমোট ৮৫ জন কলেজ শিক্ষক চার সপ্তাহ ধরে এ প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন।

আমিনুল ইসলাম/এআরএ/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।