নভেম্বরেই আসছে করোনা ভ্যাকসিন?
বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাস প্রতিরোধের মোক্ষম অস্ত্র হতে পারে একটি কার্যকর ভ্যাকসিন- এ কথা বহু আগেই জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এরপর থেকে শুধুই অপেক্ষা। কেউ বলছেন চলতি বছরের শেষ নাগাদ, আবার কেউ বলছেন আগামী বছরের শুরুতে হয়তো মিলতে পারে এ বস্তুটি।
কিন্তু সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের জাতীয় স্বাস্থ্য পরিষেবা বা এনএইচএসের কিছু গোপন নথি বলছে, করোনা ভ্যাকসিন আসতে আর খুব বেশিদিন বাকি নেই। এটি মানুষের হাতে পৌঁছানো শুরু হয়ে যেতে পারে সামনের মাসেই।
কিছুদিন আগেই অক্সফোর্ড ইউনিভার্র্সিটির গবেষকরা জানিয়েছিলেন, বড়দিন অর্থাৎ ২৫ ডিসেম্বরের আগেই ‘সুখবর’ মিলতে পারে। এর পরপরই অক্সফোর্ডের নাম উল্লেখ না করে একই আশার কথা শোনান ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এমনকি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান তেদ্রোস আধানম গ্যাব্রিয়েসুসের মুখেও শোনা গিয়েছে, ‘এ বছর শেষের আগেই একটা উপায় মিলবে।’ তবে সুনিশ্চিত করে কিছু বলেননি কেউই।
তবে সম্প্রতি একটি ব্রিটিশ দৈনিক দাবি করেছে, তাদের হাতে কিছু গোপন নথি পৌঁছেছে। সেগুলো বলছে, ডিসেম্বর নয়, বরং নভেম্বরের শুরুতেই হয়তো ব্রিটেনে গণহারে ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরু হতে পারে।
পত্রিকাটি জানিয়েছে, ব্রিটেনের পাঁচ প্রান্তে পাঁচটি ভ্যাকসিনেশন সেন্টার তৈরি করা হচ্ছে। ইতোমধ্যেই সেখানে হাজার-হাজার স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ শুরু হয়েছে।
যারা সবচেয়ে বেশি করোনা সংক্রমণের ঝুঁকিতে রয়েছেন, সবার আগে ভ্যাকসিন দেয়া হবে তাদের। যেমন- ৮০ বছর বয়োসোর্ধ্ব, প্যারামেডিকস, নার্স ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীদের। বৃদ্ধাশ্রমগুলোতেও মোবাইল ইউনিট পাঠানো হবে।
গণটিকাদানের এ প্রক্রিয়ায় সাহায্য করবে ব্রিটেনের ওষুধপ্রস্তুতকারী সংস্থাগুলো। এমনকি পরিস্থিতি সামলাতে সেনাবাহিনী নামানো হতে পারে বলেও শোনা যাচ্ছে।
করোনা মহামারির প্রথম ধাক্কায় সবচেয়ে বেশি ভুক্তভোগী দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম ব্রিটেন। দেশটিতে এ পর্যন্ত ৫ লাখ ৬১ হাজারের বেশি মানুষ প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন অন্তত ৪২ হাজার ৫৯২ জন। করোনায় প্রাণহানির হিসাবে বিশ্বের মধ্যে পঞ্চম ব্রিটেন।
সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা, ওয়ার্ল্ডোমিটার
কেএএ/