শেভিং এর সময় যে বিষয়গুলো মেনে চলবেন
শেভ করতে গিয়ে একটু অসাবধানতায় গাল কেটে ফেলার অভিজ্ঞতা কম বেশি সব পুরুষেরই আছে হয়ত। আবার নির্বিঘ্নে শেভ করার পরও অনেক সময় ভুগতে হয় ত্বকের নানা সমস্যায়। পুরুষের মুখশ্রী সুন্দর রাখতে নিয়ম করে শেভ করার প্রয়োজন পড়ে। পরিচ্ছন্ন ও পরিপাটি চেহারার জন্য তাই নিয়মিত কামিয়ে রাখতে হয় দাড়ি-গোঁফ। ত্বকের ধরণ অনুযায়ী নানা কারণে শেভ করার পর নানা জটিলতায় ভুগতে হয়। তাই শেভ করার সময় মেনে চলতে হবে কিছু সতর্কতা-
শেভ করার আগে হালকা গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। ভাল করে মুখ পরিষ্কার করে নিন। এতে ময়লা দূর হয়ে লোমকূপগুলো উন্মুক্ত হয় ও মরা কোষগুলো দূর হয়।
মুখে ভালোভাবে শেভিং ক্রিম, সোপ, জেল অথবা শেভিং ফোম লাগিয়ে নিন। কিছু সময় ভালোভাবে ফেনা হলে তারপর আস্তে আস্তে রেজর চালান।
দ্বিতীয় বার ক্রিম বা ফোম লাগানোর আগে বা পরে শেভিং অয়েল লাগিয়ে নিতে পারেন।
দাড়ি-গোঁফের অনুকূলে সহনশীল গতিতে রেজার টানবেন। গাল ও থুতনির কাছে ওপর থেকে নিচের দিকে এবং গলার দিকে একটু সতর্কতার সঙ্গে রেজর টানবেন।
দাড়ির উল্টোদিকে রেজর না চালানোই ভাল।
ত্বক শুকালে আফটার শেভ লোশন ব্যবহার করুন।
ভরাট গালে ব্লেড সমান জায়গায় সহজে ঘোরাফেরা করে তাই কাটার আশঙ্কাও বেশি থাকে। আবার যাদের গালের চোয়াল কিছুটা ভাঙা তাদেরও রেজর টানা উচিত একটু ধীরে।
সিঙ্গেল ব্লেড নয় শেভিংয়ের ক্ষেত্রে ট্রিপল ব্লেড ব্যবহার করা ভালো এবং তুলনামূলক নিরাপদ।
শেভিংয়ের পর মুখে অ্যান্টিসেপটিক ক্রিম লাগান। অ্যান্টিসেপটিক ধুয়ে মুখে আফটার শেভ লোশন দিন।
ঘুম থেকে উঠেই শেভ করা উচিত নয়। কমপক্ষে এক ঘণ্টা পর শেভ করা উচিত।
এইচএন/পিআর