যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাতেই মানুষ হত্যা করছে খালেদা
বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাতেই হত্যাকাণ্ড ঘটাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু।
জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) অডিটোরিয়ামে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি।
শহীদ এম মনসুর আলী স্মৃতি সংসদ ওই আলোচনা সভার আয়োজন করে।
মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনা মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তির নেতৃত্ব দিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। আর বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির নেতৃত্ব দিয়ে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চাইছেন।
৩ নেভেম্বর জেলহত্যাকাণ্ডের স্মৃতিচারণ করে আওয়ামী লীগের এই প্রবীণ নেতা বলেন, সেদিন আমরাও জাতীয় চার নেতার সঙ্গে জেলে বন্দি হই। আমরা খুব কাছে থেকে দেখেছি, বঙ্গবন্ধুর প্রতি জাতীয় চার নেতার কি আনুগত্য।
৩ নভেম্বরের হত্যাকাণ্ড ১৫ আগস্টের ধারাবাহিক ঘটনা বলে উল্লেখ করে আমু বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডকে পারিবারিক হত্যা বলে অনেকেই অপপ্রচার শুরু করেছিলেন। অনেকে ভ্রান্তির মধ্যেও ছিলেন। ৩ নভেম্বর হত্যাকাণ্ডের পর সব পরিষ্কার হয়ে যায়। এটি আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রে একটি রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডই ছিল।
খন্দকার মোশতাক এবং জিয়াউর রহমান পরিকল্পিতভাবে মুক্তিযোদ্ধা সেনাকর্মকর্তাদের হত্যা করেছিলেন বলে দাবি করে তিনি আরো বলেন, ‘মোশতাক এবং জিয়া ছিলেন পাকিস্তানের চর। স্বাধীন বাংলাদেশকে পাকিস্তান বানাতেই বঙ্গবন্ধু এবং জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হয়েছিল।’
আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী, গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রী মোফাজ্জেল হোসেন চৌধুরী মায়া, বন ও পরিবেশ মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. কামরুল হাসান খান, বিএমএ সাধারণ সম্পাদক ডা. ইকবাল আর্সেনাল প্রমুখ।
এএসএস/একে/পিআর