শপথ নিলেন কুয়েতের নতুন আমির যুবরাজ শেখ নওয়াফ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০২:৫৩ পিএম, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০

আধুনিক কুয়েতের স্থপতি হিসেবে পরিচিত আমির শেখ সাবাহ আল-আহমদ আল-সাবাহর মৃত্যুর পর দেশটির যুবরাজ শেখ নওয়াফ আল-আহমদ আল-সাবাহ নতুন আমির হিসেবে শপথ নিয়েছেন। বুধবার তিনি দেশটির পার্লামেন্টে নতুন আমির শপথগ্রহণ করেছেন বলে খবর দিয়েছে ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

মঙ্গলবার দেশটির আমির শেখ সাবাহ (৯১) যুক্তরাষ্ট্রে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। কুয়েতের এই আমির নানামুখী সঙ্কটে জর্জরিত মধ্যপ্রাচ্যে ছিলেন অন্যতম মধ্যস্থতাকারী। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর টানাপড়েন ও সংঘাতে মধ্যস্থতায় প্রায়ই এগিয়ে আসতেন তিনি।

শেখ সাবাহ যুক্তরাষ্ট্রে মারা যাওয়ার পরপরই মার্কিন অন্যতম মিত্র ও ওপেকের শীর্ষ তেল উৎপাদনকারী কুয়েতের মন্ত্রিসভা তাৎক্ষণিকভাবে উত্তরসূরী হিসেবে যুবরাজ প্রিন্স শেখ নওয়াফ আল-আহমদ আল-সাবাহকে নতুন আমির হিসেবে মনোনীত করে।

গত জুলাই থেকে যুক্তরাষ্ট্রে চিকিৎসাধীন ছিলেন শেখ সাবাহ। বুধবার যুক্তরাষ্ট্র থেকে তার মরদেহ দেশে আসার কথা রয়েছে।

করোনাভাইরাস মহামারির কারণে কুয়েতের প্রয়াত এই আমিরের জানাজা ও দাফন অনুষ্ঠান সীমিত পরিসরে আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ২০০৬ সালে দেশটির আমির শেখ জাবের আল-আহম আল-সাবাহ মারা যাওয়ার পর হাজার হাজার কুয়েতি ও প্রবাসী তার শেষকৃত্যে অংশ নিয়েছিলেন। কিন্তু করোনাভাইরাস মহামারির কারণে এবার সেই সুযোগ থাকছে না।

কুয়েতের এই আমিরের মৃত্যুতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র এবং সরকার প্রধান গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। মধ্যপ্রাচ্যের কূটনীতি ও রাজনীতির রক্ষক এবং মানবিকতার উজ্জ্বল নক্ষত্র হিসেবে মনে করা হতো শেখ সাবাহকে।

সর্বশেষ কাতারের সঙ্গে সৌদি নেতৃত্বাধীন কয়েকটি দেশেটির কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন ও উত্তেজনা প্রশমনে নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন তিনি। যদিও শেষ পর্যন্ত বড় ধরনের সংঘাত এড়ানো গেলেও কাতারের সঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যের সেসব দেশের টানাপড়েনের অবসান ঘটেনি। সাবেক দখলদার ইরাকের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন তিনি।

চলতি বছরের শুরুর দিকে ওমানের সুলতান কাবুসের পর কুয়েতের আমির শেখ সাবাহর মৃত্যু মধ্যপ্রাচ্যে সংযমী ও ভারসাম্যপূর্ণ ভূমিকা রাখার একটি যুগের অবসান ঘটল বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, উপসাগরীয় অঞ্চলে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত-সহ অন্যান্য দেশে এখন আগ্রাসী তরুণ প্রজন্মের উত্থান ঘটবে; যাদের ক্ষমতায় যাওয়ার আকাঙ্ক্ষা প্রচণ্ড। মধ্যপ্রাচ্যে ইরানবিরোধী কঠোর মনোভাব রয়েছে তরুণ এই প্রজন্মের।

সূত্র : রয়টার্স, আলজাজিরা।

এসআইএস/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।