বিএনপি নেতা তরিকুলসহ ৫৩ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট


প্রকাশিত: ০৯:২৫ এএম, ০৪ নভেম্বর ২০১৫

যশোরে নাশকতা ও গাড়ি পোড়ানো মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক মন্ত্রী তরিকুল ইসলামসহ বিএনপির ৫৩ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ। একই সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আরো ৬ জনের অব্যাহতির আবেদন করা হয়েছে। কোতোয়ালি মডেল থানার এসআই তৌহিদুল ইসলাম তদন্ত শেষে বুধবার আদালতে এ চার্জশিট দাখিল করেন।

এ মামলায় অব্যাহতি চাওয়া হয়েছে শহরতলীর কিসমত নওয়াপাড়ার আজিজুল ইসলাম, ইনতাজ, নান্নু, মিলন, টিটো ও বাঘারপাড়ার শেখের বাতান গ্রামের মনির হোসেন।

অভিযুক্তরা হলেন, সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলাম, যশোর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, পৌরসভার মেয়র ও নগর বিএনপির সভাপতি মারুফুল ইসলাম, জামায়াতের জেলা আমীর অধ্যাপক আব্দুর রশীদ, জেলা বিএনপির নির্বাহী সদস্য অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, সহ-সভাপতি গোলাম রেজা দুলু, যুবদল নেতা চুড়িপট্টি এলাকার রিপন চৌধুরী, জেলা যুবদলের সভাপতি এহসানুল হক মুন্না, লোনঅফিস পাড়ার রুহুল কুদ্দুস খান, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি শামসুল হুদা, ছাত্রদল নেতা বারান্দিপাড়ার মোস্তফা আমীর ফয়সাল, মোল্যাপাড়ার ফারুক হোসেন, শহরতলীর কিসমত নওয়াপাড়া গ্রামের রশিদ চাকলাদার, বাদশা, আব্দুল হান্নান, রাব্বি, রাশেদ, ঝন্টু, শিমুল, নবাব, রাজু, আতিয়ার গাজী, আব্দুল কুদ্দুস গাজী, মাসুম।

এছাড়া শেখহাটি গ্রামের আলাউদ্দিন, খোলাডাঙ্গার সাইফুল ইসলাম সবুজ, শহরতলীর বালিয়াডাঙ্গার নাজমুল হোসেন বাবুল, রূপদিয়ার সাদ্দাম হোসেন, শেহাবুর রহমান, বাহাদুরপুর গ্রামের আলা, তরিকুল ইসলাম, তোতা মিয়া, আনিছুর মোল্যা, মেহের, নুরুজ্জামান আসাদ, সুইট, পাঁচবাড়িয়া গ্রামের বাবুল দফাদার, মিজানুর রহমান, কিসমত নওয়াপাড়ার সিরাজ, জিরাট গ্রামের ইব্রাহিম, বিল্লাল, ঘোড়াগাছা গ্রামের মুন্না হোসেন, হাসান, হাশেম, বসুন্দিয়ার জামায়াত নেতা মাওলানা সাইফুর রহমান, মাওলানা তবিবর রহমান, মুনসেফপুর গ্রামের ময়েজ, তরিকুল ইসলাম, আশরাফ হোসেন, লেবুতলার মতিয়ার রহমান, মথুরাপুর গ্রামের মাওলানা আব্দুল হান্নান, নরেন্দ্রপুর গ্রামের আমিনুর রহমান মেম্বার, কচুয়া গ্রামের সামসুদ্দিন, ইব্রাহিম ও ভাতুড়িয়া গ্রামের হায়দার আলী।

আদালত সূত্র জানা যায়, ২০১৫ সালের ৫ জানুয়ারি নাশকতার উদ্দেশে বিএনপি ও জামায়াতের হরতাল অবরোধসহ বিভিন্ন নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড চালায়। এ সময় সাধারণ লোকজনদের মারপিটসহ রাজপথ ও রেলপথ অবরোধ ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। এরই ধারাবাহিকতায় ২৮ জানুয়ারি গভীর রাতে যশোর-মগুরা মহাসড়কের কিসমত নওয়াপাড়া মসজিদের সামনে বিএনপি জামায়াতের নেতাকর্মীরা নাশকতার উদ্দেশ্যে জড়ো হয়েছে বলে পুলিশ খবর পায়।

রাত আড়াইটার দিকে বিএনপি জামায়াতের সন্ত্রাসীরা রাস্তার পাশে পার্কিং করে রাখা একটি যাত্রীবাহী বাসে (যশোর ব-২২৯) অগ্নিসংযোগ করে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে নেতাকর্মীরা পুলিশকে ধাওয়া করে। এ ব্যাপারে উপ-শহর পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই মিজানুর রহমান বাদী হয়ে কোতোয়ালি মডেল থানায় নাশকতা, অগ্নিসংযোগ ও পুলিশের কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগে একটি মামলা করেন।

মামলার তদন্ত শেষে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ৫৩ জনকে অভিযুক্ত এবং ৬ জনকে অব্যাহতি চেয়ে আদালতে চার্জশিট দিয়েছে। চার্জশিটে ৪০ জনকেই পলাতক দেখানো হয়েছে।

মিলন রহমান/এসএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।