যুক্তরাষ্ট্রে শীর্ষ ব্যাংকগুলোর দায়িত্ব যাচ্ছে নারীদের হাতে
আগামী ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে সিটিগ্রুপের প্রধান নির্বাহী পদে মাইকেল করবেটের স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন জেন ফ্রেজার। গত ১০ সেপ্টেম্বর এ ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ব্যাংকটি। সেক্ষেত্রে ফ্রেজারই হতে চলেছেন ওয়াল স্ট্রিটের বড় কোনও ব্যাংকের শীর্ষপদে পৌঁছানো প্রথম নারী।
জেপি মরগান চেসের সাবেক সিনিয়র এক্সিকিউটিভ হেইডি মিলারের মতে, মার্কিন ব্যাংকগুলোর দায়িত্ব নারীদের হাতে যাওয়ার এই ধারা শুরু হলো মাত্র। আর তার ধারণা মোটেও অমূলক নয়।
যুক্তরাষ্ট্রে বড় বড় প্রতিষ্ঠানগুলোর বোর্ডরুমে নারীদের অংশগ্রহণ একেবারেই নগণ্য। ফরচুন ৫০০ র্যাংকিং অনুসারে, দেশটিতে মাত্র ৩৭টি বড় প্রতিষ্ঠানের শীর্ষপদে রয়েছেন নারীরা। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এটাই সর্বোচ্চ।
ছবি: জেন ফ্রেজার
তবে পরিবহন ও ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মতো পুরুষপ্রধান খাতের তুলনায় স্বাস্থ্যসেবা এবং হোটেল শিল্পে নারীদের অংশগ্রহণ যথেষ্ট বেশি। যুক্তরাষ্ট্রের আর্থিক খাতে ৪০ শতাংশ নারী কর্মী হলেও শীর্ষপদ পর্যন্ত পৌঁছাতে পেরেছেন মাত্র হাতেগোনা কয়েকজন।
সিঙ্ক্রোনি ফিন্যান্সিয়ালের প্রধান হিসেবে রয়েছেন মার্গারেট কিয়ানে, বেথ মুনি চালাচ্ছেন কিকর্প নামে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ ২০ ব্যাংকের একটি। তারপরও দেশটির ৯১টি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে নারী নেতৃত্ব রয়েছে মাত্র সাতটিতে।
জেন ফ্রেজার সিটিগ্রুপের দায়িত্ব নিলে সেটাই হবে এযাবৎকালে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় কোনও ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী পদে নারী নিয়োগের ঘটনা। এমনকি গাড়িনির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোও মার্কিন ব্যাংকগুলোর চেয়ে দ্রুত নারী নেতৃত্ব গ্রহণ করেছে। ২০১৪ সাল থেকে জেনারেল মোটরসের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব সামলাচ্ছেন ম্যারি বারা।
তবে নারী হিসেবে ওয়াল স্ট্রিট প্রতিষ্ঠানের শীর্ষপদে জেন ফ্রেজারকে হয়তো বেশিদিন একা থাকতে হবে না। ব্যাংক অব আমেরিকার চিফ অপারেটিং অফিসার ক্যাথি বেসান্ট ওয়েল ফার্গোর প্রধান হতে যাচ্ছেন বলে গুঞ্জন রয়েছে। এছাড়া আরও তিন নারী- জেনিফার পিয়েপসাক, ম্যারি এরদোস ও ম্যারিয়ান লেক যুক্তরাষ্ট্রের বৃহত্তম ব্যাংক জেপি মরগান চেসের শীর্ষপদে জেমি ডিমনের উত্তরসূরী হওয়ার দৌড়ে রয়েছেন।
সূত্র: দ্য ইকোনমিস্ট
কেএএ/পিআর