পাঠ্যপুস্তক বোর্ডে ‘জরুরি’ অবস্থা জারি
বছরের প্রথম দিন শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দিতে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডে (এনসিটিবি) এক ধরনের ‘জরুরি’ অবস্থা জারি করা হয়েছে। সকল কর্মকর্তা-কর্মচারিদের ছুটি বাতিলের পাশাপাশি প্রতিদিন অতিরিক্ত আরো ৩ ঘণ্টা দায়িত্ব পালন করতে হবে। এছাড়া বই ছাপা মনিটরিং কমিটির ৭৫ কর্মকর্তাকে ২৪ ঘণ্টা দায়িত্ব পালন করতে হবে। মঙ্গলবার সকালে ও বিকালে দুই দফা বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে এনসিটিবি কর্তৃপক্ষ।
এনসিটিবি সূত্র জানায়, আগামী শিক্ষাবর্ষের জন্য প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে মোট ২২ কোটি ৯২ লাখ ২ হাজার ৫১৮ সেট বই ছাপাতে হবে। এর মধ্য প্রাথমিকের ১১ কোটি ৪১ লাখ ৩৫ হাজার ৫৮৬ সেট বই রয়েছে। সঠিক সময়ে বই ছাপা, সরবরাহ ও কাগজের মান নিশ্চিত করতে ৬টি মনিটরিং টিম গঠন করা হয়েছে। এতে ৭৫ কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করছেন। কিন্তু বিশ্ব ব্যাংকের সঙ্গে দরকষাকষির কারণে প্রাথমিকের বই ছাপা কাজ শুরু করতে বিলম্ব হয়। যে কারণে আগামী বছরের প্রথম দিন শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেয়া নিয়ে শঙ্কা রয়েছে। বছরের প্রথম দিন শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দিতে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বিদেশ যাবার আগে এনসিটিবি কর্মকর্তাদের কঠোর নির্দেশনা দিয়ে যান। নির্দেশনা অনুযায়ি করছে বোর্ড।
সূত্র আরো জানায়, সঠিক সময়ে বই ছাপা ও সরবরাহ নিশ্চিত করতে মঙ্গলবার সকালে ৬টি মনিটরিং টিমের ৭৫ জন সদস্যকে নিয়ে বৈঠক করেন এনসিটিবি সদস্য (পাঠ্যপুস্তক) অধ্যাপক ড. মিয়া ইনামুল হক সিদ্দিকী। বৈঠকে মনিটরিং টিমের সকল সদস্যদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। একই সঙ্গে ২৪ ঘণ্টা দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়া বিকেলে অপর এক বৈঠকে বোর্ডের সকল কর্মকর্তাদের সাপ্তাহিকসহ সকল ছুটি বাতিল করা হয়েছে। একই সঙ্গে প্রতিদিন বিকাল ৫টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দিয়েছেন।
এনসিটিবি সদস্য (পাঠ্যপুস্তক) অধ্যাপক ড. মিয়া ইনামুল হক সিদ্দিকী জাগো নিউজকে বলেন, বছরের প্রথম দিন শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেয়া বর্তমান সরকারের বড় সাফল্য। এই সাফল্য ধরে রাখতে আমরা অঙ্গিকারবদ্ধ। বিশ্বব্যাংকের কারণে প্রাথমিকের বই ছাপাতে বিলম্বে দরপত্র আহ্বান করায় কিছুটা শঙ্কা দেখা দিয়েছে। তবুও নির্ধারিত সময়ে শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দিতে মনিটরিং সদস্যদের ২৪ ঘণ্টা দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এছাড়া বোর্ডের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারিদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। তাদেরকে প্রতিদিন রাত ৮টা পর্যন্ত কাজ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আমি নিজেও বাসা থেকে বিছানাপত্র নিয়ে এসেছি। আজ থেকে অফিসেই থাকবো। বলতে পারেন বোর্ডে এক ধরণের ‘জরুরি’ অবস্থা জারি করেছি।
এনএম/এআরএস/এএইচ/আরআইপি