নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার, চীন-রাশিয়া থেকে অস্ত্র কেনার ঘোষণা ইরানের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:১৬ এএম, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২০

অডিও শুনুন

পারমাণবিক চুক্তির কারণে তেহরানের ওপর আরোপিত অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা উঠে গেছে। তবুও ইউরোপ থেকে কোনও অস্ত্র কিনবে না ইরান। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাভেদ জারিফ জানিয়েছেন, রাশিয়া আর চীন থেকে কিনে দেশের অস্ত্রের চাহিদা মেটানো সম্ভব। খবর পার্সটুডের।

ইরানের একটি টেলিভিশন চ্যানেলকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি এসব কথা জানান তিনি। প্রসঙ্গত ইরানের কাছে অস্ত্র বিক্রিতে জাতিসংঘের আরোপিত একটি নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ আগামী ১৮ অক্টোবর শেষ হতে যাচ্ছে।

এদিকে তেহরানের ওপর সব ধরনের আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করতে চাপ প্রয়োগ করলেও তাতে সাড়া দিচ্ছে না আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। বিশেষ করে চুক্তির অন্যতম অংশীদার ইউরোপীয় ইউনিয়ন বলেছে, এততরফাভাবে পারমাণবিক চুক্তি থেকে বের হয়ে যাওয়ার পর এই চুক্তি নিয়ে ওয়াশিংটনের কিছু বলা উচিত না।

তবে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার পরও পর ইরানের কাছে অস্ত্র বিক্রি ঠেকাতে প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে ইউরোপের তিন দেশ যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জার্মানি।

নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পরও ইউরোপের এমন কৌশলে তেহরানের অবস্থান স্পষ্ট করে এক প্রতিক্রিয়া ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাভেদ জারিফ বলেন, ‘যেসব দেশের সঙ্গে আমাদের কৌশলগত সম্পর্ক রয়েছে সেসব দেশের কাছ থেকে অস্ত্র কিনেই আমরা প্রয়োজন মেটাতে পারবো, যেমন রাশিয়া ও চীন।’

তিনি আরও একধাপ এগিয়ে বলেন, ‘আমরা নিজেরাই নিজেদের অস্ত্র সরবরাহ করতে পারি, এমনকি আমরা অস্ত্র রফতানিও করতে পারি। তারপরও যখন প্রয়োজন পড়বে তখন এসব দেশ থেকে কিনতে পারবো। যুক্তরাষ্ট্র দ্বিতীয় দফা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলেও সেটি তাদের কাছে বাধা হবে বলে মনে হয় না।’

ইউরোপ থেকে অস্ত্র কেনা তিনি বলেন, ‘ইরানে ইসলামি বিপ্লবের পর ইউরোপ তেহরানের কাছে অস্ত্র বিক্রি থেকে বিরত থেকেছে, এমনকি ১৯৮০’র দশকে ইরাকের আগ্রাসনের সময়েও তেহরানের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়েছে এসব দেশ। এসব বিষয় বিবেচনা করেই তাদের কাছ থেকে অস্ত্র কেনার চিন্তা করা হবে না।’
সূত্র : পার্সটুডে

এসএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।